মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে চাঁদা নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রদীপ মণ্ডলের মাথা পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ সভাপতি শামসুল হক মোল্লার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার নাগেরপাড়া বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে শামসুল হক শ্রীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
জানা যায়, বীরতারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রদীপ মণ্ডল চায়ের কাপ ছুঁড়ে উপজেলার হাসাড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল হক মোল্লার মাথা ফাটিয়ে দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শামসুল হক মোল্লার ছোট ভাই বজলুর রহমানের বীরতারা ইউনিয়নের সাতগাঁও এলাকার নিজ জমি ভরাটের কাজে প্রদীপ মণ্ডল বাধা প্রদান করেন। কাজ করার জন্য প্রদীপ শামসুল হকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ বিষয়ে শুক্রবার সকালে নাগেরপাড়া বাসস্ট্যান্ডে উভয়ের মাঝে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ইউপি সদস্য প্রদীপ মণ্ডল তার হাতে থাকা চায়ের কাপ দিয়ে শামসুল হকের মাথায় আঘাত করলে তিনি রক্তাক্ত হন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: শামসুল হক মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, ‘মাস খানেক আগে আমার নিজের জমি ভরাট করতে গেলে তখন তিনি আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন। আমি ওই ঘটনা মশকরা ভেবে উড়িয়ে দেই। এখন আমার ছোট ভাই বজলুর রহমান তার বাড়ির পাশের নিচু জায়গাটি ভরাট করতে গেলে প্রদীপ আবার আমার কাছে এসে চাঁদা দাবি করেন। তিনি বলেন, আমার ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে যেন আমি তাকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে দেই। এ বিষয়ে তার সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। তখন তার হাতে থাকা চায়ের কাপ দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেন। আমি ওর বিচার চাই।‘
প্রদীপ মণ্ডল বলেন, ‘আমি কোনো চাঁদা দাবি করিনি। নির্বাচন নিয়ে তার সাথে আমার ঝগড়া। সকালে তিনি আমাকে মারতে এলে একপর্যায়ে পড়ে যান। এতে তার মাথা ফেটে যায়। আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’