আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত বাতিলের চিন্তা নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বৃহস্পতিবার এক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী জানান, ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধারায় তার (খালেদা জিয়া) দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে শর্তযুক্তভাবে তাকে যে মুক্তি দেয়া হয়েছে, তার পরিবর্তন আনার কোনো চিন্তাভাবনা সরকার করছে না।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর চিন্তা নেই কি না, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় না।’
খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুই শর্ত বহাল রেখে তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ল। পঞ্চম দফায় তার মুক্তির মেয়াদ শেষ হয় গত ২৪ সেপ্টেম্বর।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগের মতো খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না— এ দুটি শর্তে দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। ওই দিনই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর ৩০ অক্টোবর এ মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।
একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত।
২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়।