খুলনার বিভাগীয় সমাবেশের কর্মসূচি লাইভ করেছিল বিএনপির মিডিয়া উইং। দেশের পাশাপাশি বিদেশে বসে প্রবাসীরা লাইভে সমাবেশ দেখেছিলেন। সেই সময় ইন্টারনেটের স্পিড কমিয়ে সম্প্রচার বাধাগ্রস্ত করেছে সরকার।
শনিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের প্রধান ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন দেশ রূপান্তরকে এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘সমাবেশে লোক সমাগম ঠেকাতে সরকার পরিকল্পিতভাবে পরিবহন ধর্মঘট ডাকে দুইদিন আগে। এরপর লঞ্চ বন্ধ করে দেয়। খুলনা শহরের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে সমাবেশে যোগ দেওয়া নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। সর্বশেষ সমাবেশের খবর প্রচারের সময় ইন্টারনেট স্পিড কমিয়ে বাধা দিয়েছে সরকার। যে কারণে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য দেশে-বিদেশে অবস্থানকারী নেতা-কর্মী-সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ দেখতে ও শুনতে পারেননি।’৫০ হাজার প্রবাসী সমাবেশ দেখেছে
এদিকে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সাবেক সদস্য মুহাম্মাদ ওয়াহিদ উদ্দিন নবী দেশ রূপান্তরকে জানান, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৫০ হাজার প্রবাসী বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের লাইভে সমাবেশ দেখেছেন। তবে সমাবেশে নেতারা যখনই বক্তব্য রেখেছেন তখন লাইভে সমস্যা হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন হঠাৎ করে লাইভে সমস্যা হওয়ায় তারা বক্তব্য শুনতে পারেননি।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্টাটাসে ওয়াহিদ উদ্দিন নবী লেখেন, ‘লাইভে খুলনার সমাবেশ দেখছিলাম-বিএনপি মিডিয়া উইং খুব সুন্দর ভাবে কাভার করছিলো-বিভিন্ন নেতারা যখন বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তখনই বুঝতে পারছিলাম যে, ‘সরকার নেটের স্পিড কমিয়ে দিয়ে লাইভ ষ্ট্রিমিংয়ে ঝামেলা করছে। মহাসচিব সাহেব যখন বক্তৃতা শুরু করলেন তখনই লাইভ ষ্ট্রিমিং বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৫০ হাজার মানুষ দেখছিলেন সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে।’
তিনি লিখেন, ‘বর্তমান গণজোয়ারে বাধা দিতে আওয়ামী লীগের সরকার হেনো কোন কাজ নেই যে তারা করছে না, তবে এর কাউন্টার মিজার দায়িত্ববানদের অবশ্যই জানতে হবে। যে কোনো সমাবেশে নিজেদের ডেডিকেটেড ব্রডব্যান্ড লাইন রাখতে হবে। টেকনোলজির এই যুগে সব সম্ভব। ক্যামেরার রেজুলেশন অনেক নিম্নমানের ছিল। এত বড় গণজমায়েতের পেছনের কোন কাভারেজ নাই। সম্ভবতঃ সাধারণ মোবাইলেই ষ্ট্রিমিং করা হচ্ছিল।’
তিনি আরও লিখেন, ড্রোন টেকনোলজি ব্যবহার করতে হবে-দরকার হলে ভাল মানের ড্রোন কিনে কিম্বা কোন মিডিয়া হাউজকে দিয়ে দলীয় কাউকে এর ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করতে হবে। আগামীতে আশা করি এইসব দিক ভাববেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এত বাধা বিপত্তি মামলা হামলার পরও জনসমাবেশে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ স্বৈরাচার পতনের আশার সঞ্চার করে। বাংলাদেশের জন্ম থেকে দুই দুইটা বড় স্বৈরাচার পতনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ইতিহাসে পাতায় স্থান পাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।