গাড়িবহর নিয়ে বেশ আনন্দেই উল্লাস করতে করতে কনের বাড়িতে আসেন বরসহ ৭০ জন বরযাত্রী। বাড়ির সামনে এলে গাড়ি থেকে বরকে হাসিমুখে নামিয়ে নেয় কনেপক্ষ। তবে বরযাত্রীকে বরণ করতে গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কনেপক্ষের আনুষ্ঠানিকতায় আ’ট’কা পড়েন তারা। সেখানে তাদের স্বাগত জানান কনেপক্ষের একদল ছে’লে-মে’য়ে।তারা বরকে মিষ্টি আর শরবতও খাওয়ান। এ সময় বর ও কনেপক্ষের কয়েক কি’শোর গেটের উভ’য় পাশ থেকে ‘পার্টি স্প্রে’ নিক্ষেপ শুরু করে। আর তাতে মুহূর্তের মধ্যে বিয়ের উদ্যাপন রূপ নেয় স’হিং’সতায়। শুরু হয় সং’ঘ’র্ষ। এতে ভেস্তে যায় বিয়ের আয়োজন। না খেয়েই ফিরে যায় বরযাত্রী।
গতকাল শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজে’লার লস্কারদিয়া ইউনিয়নের বারখাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভ’য় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আ’হত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পু’লিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। কনের এলাকার লস্কারদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদার জানান, শুক্রবার বারখাদিয়া গ্রামের কবির শেখের বাড়িতে তার মে’য়ের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সালথা উপজে’লার সোনাপুর ইউনিয়নের মিনাজদিয়া চান্দাখোলা গ্রামের মো. ছোরাপ মাতুব্বরের ছে’লে মালয়েশিয়াপ্রবাসী আফসার মাতুব্বরের বিয়ের আয়োজন হয়।
জুমা’র নামাজের পর বর আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে ওই বাড়িতে বিয়ে করতে যান। এ সময় গেটে পার্টি স্প্রে ব্যবহার করা নিয়ে বর ও কনেপক্ষের কয়েকজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভ’য় পক্ষই সং’ঘ’র্ষে জড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমিসহ পু’লিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি। পরে বরযাত্রীর লোকজনকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিই। তবে বিয়ে ভে’ঙে যায়। এতে কনেপক্ষের অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া কনেপক্ষের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিয়ের আয়োজন করতে প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ করেছেন তারা। তবে ঝামেলার কারণে বরপক্ষ খাবার না খাওয়ায় সেই খাবার এলাকাবাসীদের খাওয়ানো হয়।বরের এলাকা সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু মোল্যা বলেন, আমা’র পাশের গ্রামেই বরের বাড়ি। আমা’রও বিয়েতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে ব্যক্তিগত কাজের জন্য যেতে পারিনি। শুক্রবার আমাদের এখান থেকে বর ৭০ জন বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে কনের বাড়িতে যায়। সেখানে যাওয়ার পর গেটে পার্টি স্প্রে দেওয়া নিয়ে বর-কনেপক্ষের মধ্যে সং’ঘ’র্ষ হয়।
বিষয়টি ওই এলাকার চেয়ারম্যান মীমাংসার চেষ্টা করতে চেয়েছিলেন বলে শুনেছি। তবে কাজ হয়নি। ঘটনার পর কনেপক্ষ আর বিয়েতে রাজি হয়নি। পরে বিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বরযাত্রী না খেয়েই কনের বাড়ি থেকে ফিরে আসে। এ ঘটনায় বরপক্ষের দুজন আ’হত হয়েছে। তার মধ্যে বরের ভাতিজা বাইজিদ গুরুতর আ’হত হয়। তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতা’লে ভর্তি করা হয়।
নগরকান্দা থা’নার ভরপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন বিয়েবাড়িতে সং’ঘ’র্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান , খবর পেয়ে পু’লিশ ওই বিয়েবাড়িতে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এ ঘটনায় কনেপক্ষ থা’নায় একটি লিখিত অ’ভিযোগ দায়ের করেছে। অ’ভিযোগটি ত’দ’ন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।