মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মধ্যে গ্রুপ পর্যায়ে সর্বোচ্চ ভোটে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। সরকার একে দেখছে বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বের আস্থার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে। আর পশ্চিমা দেশগুলো মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশের সদস্য হওয়াকে মানবাধিকার ইস্যুতে কাজের সুযোগ হিসেবে দেখছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল বুধবার এক বার্তায় বলেন, ‘জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটে (১৬০ ভোট) বাংলাদেশের জয় আবারও প্রমাণ করেছে, শেখ হাসিনার সরকার ও বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর বিশ্ব নেতৃত্বের আস্থা আছে।
গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারকে সরকার সবচেয়ে অগ্রাধিকার দেয়। ’
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে মানবাধিকার পরিষদে নির্বাচনে ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বার্তায় বলেছে, এই ফল দেশে ও বিদেশে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত কিছু গোষ্ঠীর মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে নেতিবাচকভাবে তুলে দেওয়ার প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করেছে।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ডেলিগেশন প্রধান ও রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইলি গতকাল বুধবার এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশকে অভিনন্দন। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে সদস্য হওয়া অন্যদের সঙ্গে অংশীদারির ভিত্তিতে মানবাধিকারকে এগিয়ে নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। ’
জেনেভায় অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি আমান্দা গ্লোরি মানবাধিকার পরিষদে নবনির্বাচিত সব দেশের নাম উল্লেখ করে টুইট বার্তায় লিখেছেন, সবার মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে অস্ট্রেলিয়া ওই সদস্যদের সঙ্গে কাজ করতে চায়।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ গুম-খুনের অভিযোগে দেশে-বিদেশে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে কূটনৈতিক তৎপরতায় মানবাধিকার পরিষদে নির্বাচনে বিপুল সমর্থনে বাংলাদেশের জয় অনেককে বিস্মিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা রবার্ট এফ কেনেডি ফর হিউম্যান রাইটসের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড লিটিগেশনবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মানবাধিকার আইনজীবী অ্যাঞ্জেলিটা বেয়েন্স টুইট বার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে যখন সদস্য নির্বাচিত করা হয়, তখন জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বিস্মিত হতে হয়। ’