নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আরটিএন ফেরদৌসী আক্তার রেহানা নামে এক মানবাধিকার কর্মীকে কালা জাদু করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে রেহানা জাদুটোনার নানা সামগ্রী দেখিয়ে তার পুত্র ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বক্তব্য দিয়েছেন।
রেহানার এ লাইভ ভিডিও মুহূর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় পুত্র ও পুত্রবধূসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যার আশঙ্কা করে একটি জিডি করেছেন রেহানা।
আরটিএন ফেরদৌসী আক্তার রেহানা ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকার মৃত সুলতান মিয়ার মেয়ে। তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার কর্মী।
রেহানা জানান, তার একমাত্র ছেলে লিমন ও তার স্ত্রী আল্পনা দীর্ঘদিন ধরে তাদের দুজনের নামে বসতবাড়ি লিখে দিতে হুমকি দিয়ে আসছে। বাড়ি লিখে না দেওয়ায় আল্পনা তার নানা নানির কুপরামর্শে তাকে কালা জাদু করেছেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক বুঝতে না পারলেও কয়েক দিন যাবত অসুস্থতা বোধ করছেন রেহানা।
তিনি আরও জানান, সোমবার রাত ১০টায় সংগঠনের নেতারা আসেন তার অসুস্থতার খোঁজখবর নিতে। এ সময় লিমন হঠাৎই ফুঁসে উঠে তাকে পানির গ্লাস ভেঙে হত্যার চেষ্টা চালায়। ওই সময় সংগঠনের লোকজন লিমনকে ধরে ঘর থেকে বের করে দেন। এরপর লিমনের জামা-কাপড় খুঁজতে গিয়ে দেখেন একটি জুতার বাক্সের ভিতর জাদুটোনার নানান সামগ্রী।
বিষয়টি আইনগত ব্যবস্থা নিতে তাৎক্ষনিক ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করেন রেহানা। একই সঙ্গে স্থানীয় মসজিদের ইমামদের তার বাসায় ডেকে নেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে জাদুটোনার সামগ্রী দেখে ইমামরা জানান, এসব দিয়ে রেহানাকে কালা জাদু করা হয়েছে। এর ফলে তিনি ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে মারা যাবেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই শামীম জানান, রেহানার ছেলে লিমনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন জাদুটোনা সে এবং তার স্ত্রী করেছে। রেহানা থানায় জিডি করেছেন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।