মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের একটি স্কুলে বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনী। এ হামলায় ৬ জন স্থানীয় বাসিন্দার পাশাপাশি নিহত হয়েছে স্কুলটির ১১জন শিশু শিক্ষার্থী, নিখোঁজ আছে আরও অন্তত ১৫ জন শিশু। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সময় গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের একটি স্কুলে ভয়াবহ এ হামলা চালায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। হামলার পর নিহত শিশুদের বেশিরভাগেরই মরদেহ নিয়ে যায় তারা। অভিযোগ, আরও অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী যারা হামলা থেকে কোনোভাবে বেঁচে গিয়েছিল, তাদেরও হেফাজতে নিয়েছে জান্তা বাহিনী। তাদের দাবি, এই স্কুলে কিছু সংখ্যক বিদ্রোহী লুকিয়ে আছে বলে খবর ছিল তাদের কাছে। বিদ্রোহীদের প্রতিহত করতে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর।
এ বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়ে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে ইউনিসেফ। সেখানে বলা হয়েছে, স্কুলগুলো অবশ্যই সুরক্ষিত থাকা দরকার। শিশুদের ওপর কোনোভাবেই আক্রমণ করা যাবে না। যে ১৫ শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে তাদের অবিলম্বে ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বানও জানায় ইউনিসেফ। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনাও জানায় সংস্থাটি।
মূলত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণতান্ত্রিক সরকার অং সান সুচিকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক সরকার। এরপরই জান্তা বাহিনীর বিরোধীতা করে রাস্তায় নামে মিয়ানমারের হাজারো নাগরিক। বিদ্রোহ দমাতে মোট ১ হাজার ৫০০ জনকে নির্বিচারে হত্যা করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
তবে এখনও মিয়ানমারের বেশকিছু স্থানে সক্রিয় আছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। বিশেষ করে স্থানীয়দের সহায়তায় পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) গেরিলা বাহিনী বেশকিছু স্থানে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। পিডিএফকে দমনের নামে একাধিক আবাসিক স্থানে মিয়ানমার সেনাবাহিনী হামলা চালিয়ে আসছে। এতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন বহু সাধারণ জনগণ