এবার ট্রেনে তল্লাশিকে কেন্দ্র করে পুলিশ এবং বিজিবির মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে মূলত খুলনা থেকে কলকাতা যাওয়া ‘বন্ধন এক্সপ্রেস এ তল্লাশিকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে যশোরের বেনাপোল রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা নিয়ে অবশ্য অনেকে নানা মিশ্র প্রতিক্রিযা জানিয়েছে।
ভারতের কলকাতা এবং বাংলাদেশের খুলনার মধ্যে চলাচলকারী ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনে তল্লাশি করা নিয়ে পুলিশ-বিজিবির ভুল-বোঝাবুঝির কারণে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
বেনাপোল রেলওয়ে সূত্র জানায়, ভারতের কলকাতার চিৎপুর রেলস্টশন থেকে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে আসা বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি আজ সকাল ১০টা পাঁচ মিনিটে বেনাপোল স্টেশনে পৌঁছয়। যাত্রীদের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ট্রেনটি খুলনার উদ্দেশে বেনাপোল রেলস্টেশন ছেড়ে যায়।
রেলওয়ে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সকালে বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেনাপোল স্টেশনে পৌঁছনোর পর বিজিবি সদস্যরা ট্রেনে তল্লাশি চালানোর প্রস্তুতি নেন। এ সময় রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কাস্টমস কর্মকর্তা ছাড়া ট্রেনে যাত্রীদের লাগেজ তল্লাশি করা যাবে না বলা হয়। এ সময় সাদা পোশাকে পাশে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনে ছবি তুলছিলেন মনিরুল ইসলাম। এ নিয়ে বিজিবি সদস্যরা তাকে মারধর করেন। পরে মনিরুলকে গাড়িতে তুলে বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। মনিরুল ইসলাম খুলনা রেলওয়ে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে।
এ সময় মনিরুলকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে বিজিবি সদস্যরা সেতাফুর রহমান নামের আরেক পুলিশ সদস্যকেও মারধর করেন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বিকেলে তিনি ফাঁড়িতে ফেরেন। সেতাফুর রহমান বেনাপোল রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত।