বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তে রোহিঙ্গা শিবিরে মিয়ানমার সেনাদের গুলিবর্ষণে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
দলের প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ূমের সই করা এক বিবৃতিতে তিনি নিহতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
রেজাউল করীম বলেন, সরকারের দুর্বল কূটনীতির সুযোগে গত ২৮ আগস্ট শুরু হওয়া মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বেড়েই চলেছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ, শুক্রবার মিয়ানমার বাহিনীর ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু।
তিনি বলেন, অকারণে নিরীহ রোহিঙ্গা শিবিরে মিয়ানমার সেনাদের গোলাবর্ষণের ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের ওপর এ হামলা ক্ষমার অযোগ্য।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে মর্টারশেল ছোড়ার এক সপ্তাহের মাথায় গত ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার বাহিনী বারংবার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে গোলা নিক্ষেপ করে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের শূন্যরেখার কাছাকাছি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ১২০ মিটারের ভেতরে পড়ে বিস্ফোরিত হয়, যা সরাসরি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।