মামলায় বলা হয়, গত ১ মার্চ ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে আসামি তানীম রেজা বাপ্পি, জাবেল হোসেন পাপন, মো. জামাল ও ওসি আব্দুর রশিদসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন বাদী। ট্রাইব্যুনাল ওসি আব্দুর রশিদকে বাদ দিয়ে তানীম রেজা বাপ্পি, জাবেল হোসেন পাপন, মো. জামালসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানাকে মামলাটি এজাহার হিসাবে গ্রহণের নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী হাতিরঝিল থানা এজাহার নেয়। বর্তমানে ওই মামলাটি পিবিআইয়ের তদন্তাধীন।
এই মামলা হওয়ার পর আসামি আব্দুর রশিদ ও আশরাফ উদ্দিনের সহযোগিতায় অপর আসামিরা মামলাটি তুলে নিতে এবং আসামি তানীম রেজা বাপ্পি ও জাবেল হোসেন পাপনকে জামিন করে আনতে চাপ দেন। না হলে বাদীর ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হয়। এরপর গত ২৩ মে রাতে আসামি তানীম রেজা বাপ্পি, মো. জামাল ও সাইফুল ইসলাম বাদীর বাসায় এসে তাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেন।
বাদী মামলা তুলে না নিতে চাইলে আসামি মো. জামাল বাদীর ছেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি রেখে তাকে ধর্ষণ করেন। একইভাবে গত ৩১ মে রাতে তারা আরও অনেক বার বাদীকে ধর্ষণ করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ৫ জুন সকালে বাদীর বাসায় এসে আসামি আব্দুর রশিদ ও আশরাফ উদ্দিনের সহযোগিতায় অপর আসামিরা বাদীকে পিবিআই অফিসে নিয়ে যান। পরে আসামি আব্দুর রশিদ ও আশরাফ উদ্দিন বাদীর কাছ থেকে জোর করে কয়েকটি সাদা কাগজ ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। তাদের শিখিয়ে দেওয়া মনগড়া বক্তব্য বাদীকে দিয়ে বলিয়ে অডিও রেকর্ড করেন এবং লিখিত নেন।
এরপর গত ২১ জুলাই বাদী শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারে তিনি সাত সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। বাদী নিরূপায় হয়ে গত ২৬ জুলাই পুলিশ হেডকোয়াটার্সে আইজিপি বরাবর ঘটনা তুলে ধরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বাদীর অভিযোগের বিষয়ে আসামিরা জানতে পেরে গত ২৮ জুলাই বিকালে বাদীকে অস্ত্রের মুখে বাসা হতে তুলে নিয়ে খিলগাঁও থানার দক্ষিণ গোড়ান ছাপড়া মসজিদ এলাকার নগর উন্নয়ন সমাজসেবা সংস্থায় নিয়ে আসে আসামিরা। পরে নার্স ও সেখানকার চিকিৎসক দিয়ে তার গর্বপাত করান।
এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বাদীর বিরুদ্ধে আসামিরা সোস্যাল মিডিয়াই অপপ্রচার চালিয়ে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করাসহ হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেন।
123
Shares
facebook sharing buttontwitter sharing button