রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে পুলিশ পরিচয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে স্বর্ণালঙ্কার লুট করার অভিযোগ উঠেছে।ভুক্তভোগী ছাত্রীর তুরাগ থানায় দায়ের করা অভিযোগের সূত্রমতে, গত ২৫ আগস্ট দুপুর দেড়টায় তিনি কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে রিকশাযোগে বাসায় যাচ্ছিলেন। হঠাৎ মোটরসাইকেলে আসা এক ব্যক্তি তার গতিরোধ করে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভূক্তভোগীকে দাঁড়াতে বলেন। মোটরসাইকেলের সামনে পুলিশের স্টিকার লাগানো ছিল।
পুলিশ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ভূক্তভোগীকে বলেন, আপনার সঙ্গে থাকা ব্যাগে অবৈধ জিনিসপত্র রয়েছে, এখনই আপনাকে থানায় যেতে হবে। এ অবস্থায় পুলিশ পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির বক্তব্যে বিব্রত হয়ে তার মোটরসাইকেল ওঠেন ভুক্তভোগী।শিক্ষার্থীকে মোটরসাইকেলে তুলেই দ্রæতগতিতে তাকে নিয়ে যান দিয়াবাড়ির নির্জন এলাকায়। সেখানে ছুরির ভয় দেখিয়ে ভূক্তভোগীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন এবং কানের দুল ছিনিয়ে নেন।
এ সময় পাশ দিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। পুলিশ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তির আচরণ অস্বাভাবিক মনে হলে তিনি এগিয়ে যান। স্থানীয় ব্যক্তিকে এগিয়ে আসতে দেখে পুলিশ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ভিকটিমের স্বর্ণালঙ্কার ও ব্যাগ নিয়ে দ্রæত পালিয়ে যান।বিষয়টি তুরাগ থানায় অবহিত করা মাত্র পুলিশ এসে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ কল্যানপুর থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকার সিসিভ ফুটেজ পর্যালোচনা করে পুলিশ পরিচয় দেয়া ব্যক্তিকে সনাক্তের চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, ঢাবির শিক্ষার্থীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে যাচ্ছি। অপহরনকারী ও তার মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করতে আমাদের কাজ চলছে। পুলিশ পরিচয়ে মোটরসাইকেলে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে স্বর্ণকার লুটের ঘটনাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এ ধরনের ঘটনা ঢাকা মহানগরে এই প্রথম। পুলিশ-ডিবির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা এ বিষয়ে তদন্ত করছে।