আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, জেনারেল জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত। সেটা বিদেশি সাংবাদিকরা পরিষ্কার করে বলেছেন। খুনি ডালিম একবার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, জিয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। কীভাবে তিনি জড়িত ছিলেন, সেটা বলে দিয়েছেন। জিয়া খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, জনগণ রাস্তায় নেমেছে। আমরা নাকি ভয়ে তটস্থ! জনগণ কোথায় নেমেছে? ১০ জনকে জনগণ বলবেন? ৫০ জনকে জনগণ বলবেন? কেবল শুরু। একেকটি দল আপনাদের তালাক দেওয়া শুরু করেছে। এরপর আপনাদের দলের ভেতর থেকেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি খালেদা জিয়া ও পলাতক তারেক রহমানকেও তালাক দেবেন। তখন দিশা পাবেন না।
সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জহির রায়হান মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নানক এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই ভাষণ শুনলে আমাদের পেটানো হত। ওরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভয় পায়। ওরা ভাবতে পারে নাই শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় আসবেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, ফখরুল সাহেব বড় বড় কথা বলেন। আপনাদের প্রতিষ্ঠাতা সামরিক উর্দি পরা জিয়াউর রহমান। হ্যাঁ-না ভোটের আয়োজন করে যে নির্বাচনে কাউকে ভোট দিতে হয়নি। আর পরের নির্বাচন তো সবাই জানে, ১০টা হোন্ডা আর ২০টা গুণ্ডার নির্বাচন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর কারণেই আমরা এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছি। তিনি না থাকলে এটা কখনোই সম্ভব হত না।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন। আলোচনা সভার শেষ পর্যায়ে প্রধান অতিথি শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।