বাংলাদেশকে সামনের দিনে নেতৃত্ব দিতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন যশোর-৩ আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া শুরু করেন শেখ হাসিনা। তার সময়ে বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি গৃহীত হয়। নারীদের জন্য দুস্থ ও বিধবা এবং বৃদ্ধ ভাতা চালু হয়। ২০০৯ সালে আবারও ক্ষমতায় এসে দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ তিনি দেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। আমাদের মাথাপিছু আয় এখন পাশের দেশের থেকেও বেশি।’
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টায় শহরের ঘোপ বৌবাজার এলাকায় ১৫ আগস্ট স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও খাবার বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, আজ করোনার মতো ভয়াবহ মহামারি শেখ হাসিনা শক্তভাবে মোকাবিলা করেছেন। বর্তমানে যুদ্ধ ও বিভিন্ন কারণে বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল। এরমধ্যেও জনগণের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। তার যোগ্য নেতৃত্বে আগামী ছয় মাসের মধ্যেই বর্তমান পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে আশা করি।
এমপি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তৎকালীন সামরিক জান্তা—জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তানে পরিণত করে। সব জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলে তারা। পাকিস্তান যে আমাদের শত্রু ছিল, সেই কথাটাও রেডিও-টেলিভিশনে বলা হতো না। সেই জায়গা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। তার নেতৃত্বে সব সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে।’
কাজী নাবিল আহমেদ আরও বলেন ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে যশোরের ছয়টি আসনেই নৌকা মার্কাকে জয়যুক্ত করতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবারও জয়যুক্ত করে দেশের উন্নয়নের যাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, কাউন্সিলর রাজিবুল আলম, কাউন্সিলর মোকছিমুল বারী অপু, মেহেদি হাসান মিন্টু, মাজেদা খাতুন প্রমুখ।
এছাড়া বিকালে যুবলীগের উদ্যোগে যশোর শহরের পুরাতন কসবা বিবি রোড মোড়ে আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভা ও খাবার বিতরণে অংশ নেন এমপি নাবিল আহমেদ। জেলা যুবলীগের অর্থ সম্পাদক ফিরোজ আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ মেহেদি হাসান, শাহজাহান কবীর শিপলু, পৌর কাউন্সিলর শেখ জাহিদ হোসেন মিলন প্রমুখ।