জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চাঞ্চল্যকর সিঁধ কেটে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক কনক হাসানকে (২৫) রাজধানীর ডেমরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আজ সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত কনক উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের লোকনাথপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী আব্দুল কাদেরের ছেলে।
জামালপুরের র্যাব-১৪ (সিপিসি-১) ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার (সহকারী পুলিশ সুপার) এম এম সবুজ রানা প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করায় র্যাব অভিযানে নামে। তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ধর্ষক কনক হাসানের অবস্থান শনাক্ত করার পর রবিবার (২১ আগস্ট) ভোরে ডেমরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।
মামলা ও প্রেসবিজ্ঞপ্তি সূত্র জানায়, পঞ্চাশি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া লোকনাথপুর গ্রামের নীরিহ কৃষক পরিবারের মেয়েকে (১৪) একই গ্রামের বখাটে কনক হাসান কিছুদিন আগে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় ওই শিক্ষার্থীকে সে স্কুলে যাতায়াতের পথে উত্যক্ত করতো। এ ঘটনায় তাকে সাবধান করা হলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে গত ১২ আগস্ট (শুক্রবার) মধ্যরাত ৩ টার দিকে কনক ওই শিক্ষার্থীর বসতঘরের ভিটিতে সিঁধ কেটে ঢুকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় পরদিন ভুক্তভোগীর বাবা থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ধর্ষক আত্মগোপন করলেও তার প্রভাবশালী পরিবার মামলা প্রত্যাহারে ভুক্তভোগীর পরিবারকে হুমকি দিতে থাকে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মানববন্ধন করে।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, আটককৃতকে র্যাব রবিবার রাতে সরিষাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করে। সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।