সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : বিয়ের অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রত্না খাতুন (৩৩) নামের এক গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় মৃতের বাবা আব্দুল মজিদ উল্লাপাড়া মডেল থানায় অপমৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেছেন। আজ শনিবার দুপুরে রত্নার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের ভুতবাড়িয়া গ্রাম থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত রত্মা খাতুন উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের ভুতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মমিন প্রামাণিকের স্ত্রী ও একই উপজেলার শিবপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের মেয়ে।
মৃতের বাবার অপমৃত্যুর অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ১৬ বছর আগে ভুতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মমিন প্রামাণিকের সঙ্গে রত্না খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রত্না স্বামীর বাড়িতে থেকে সংসার করে আসছেন। গত ৮ আগস্ট একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়া নিয়ে রত্নার সঙ্গে তাঁর স্বামীর মনোমালিন্য হয়। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে রত্না সবার অগোচরে নিজ ঘরে বিষপান করে আত্মহত্যা করে।
পরে রত্নার স্বামী বিষয়টি রত্নার বাবাকে মোবাইল ফোনে অবগত করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রত্নার বাবা উল্লাপাড়া মডেল থানায় অপমৃত্যুর লিখিত অভিযোগপত্র দেন।
এ বিষয়ে রত্নার বাবা আব্দুল মজিদ বলেন, ‘মেয়ের জামাইয়ের খবরে বাড়ি এসে দেখি আমার মেয়ের বাড়িতে পড়ে আছে। মেয়ের জামাই ও তাঁর পরিবারের সদস্যেরা আমাকে জানায় রত্না বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি আমি থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছি।’
উল্লাপাড়া মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রত্মা খাতুনের সঙ্গে তাঁর স্বামীর মনোমালিন্য হয়। এরই জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছে বলে রত্নার বাবা থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তবে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।