গোলাপের রাজ্য’ বলে পরিচিত সাভারের বিরুলিয়া। রাজধানীর অদূরের এই ইউনিয়নে দীর্ঘ বিশ বছর যাবত চলছে ফুল চাষ। শুধু গোলাপই নয়, চাষ হচ্ছে নানা জাতের বিদেশি ফুলও। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চান চাষিরা। তাই, জমি বেদখল হওয়া রুখতে প্রশাসনের সহযোগিতা চান তারা।
সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর, শ্যামপুর, বাগ্নীবাড়ি, মোস্তাপুরসহ অন্তত ২০-২৫টি গ্রামে গোলাপ ফুল চাষ করে ভাগ্য বদল হয়েছে অনেকের। কয়েক বছর ধরে চাষ হচ্ছে জারবেরা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা ও গাঁদাসহ নানা বাহারি ফুলও। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে দুই হাজারেরও বেশি মানুষের।
করোনায় গত ৬ মাসে বাজার বন্ধ থাকলেও কিছুদিন ধরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফুল সরবরাহ শুরু হয়েছে। চাষিরা বলছেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ফুল রপ্তানি সম্ভব।
ছোটখাটো সমস্যা কোনো মতে কাটিয়ে উঠতে পারলেও সম্প্রতি ফুল চাষই বাধার মুখে পড়েছে। চাষের জমিতে আবাসন প্রকল্পসহ বিভিন্ন দখলদারের হানায় আতঙ্কিত চাষিরা। অবশ্য জনপ্রতিনিধি ও কৃষি কর্মকর্তা চাষিদের সহায়তার আশ্বাস দেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিয়াত আহমেদ বলেন, আমার কাছে অ্যাপলিকেশন দিলে আমি সেটা ফরোয়ার্ড করে ইউএনও’র কাছে পাঠাবো।
২০০০ সালে বিরুলিয়ার শ্যামপুর গ্রামে প্রথম গোলাপ চাষ শুরু হয়। এখন ২০ থেকে ২৫টি গ্রামের মানুষ সাড়ে ৪’শ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ফুলের চাষ করেন।