শহরের জীবন মানেই দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ব্যস্ততা। প্রতিটি মানুষই নিজ নিজ কাজে নির্দিষ্ট সময়ে ব্যস্ত থাকেন। কেউ দিনে, আবার কেউ রাতে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টার ও কোট রোডের মধ্যস্থ পুরাতন সুপারমার্কেট এর ফাঁকা জায়গা হচ্ছে রাতের আঁধারে রমরমা হয়ে উঠেছে দেহব্যবসা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় দেহব্যবসার কিছু আলামত। এসময় সদর মডেল থানার এএসআই রফিকের সাথে থাকা ৪ থেকে ৫ জন পুলিশ সদস্যের মধ্যরাতের অভিযানে বের হয়ে আসে পুরাতন সুপারমার্কেটের ফাঁকা জায়গায় দেহব্যবসার চিত্রে।
যেসব স্থানে দিনে হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা, সন্ধ্যা নামলেই সেইসব এলাকা ও অলিগলি হয়ে ওঠে জনশূন্য। রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে সেইসব এলাকা হয়ে ওঠে দেহব্যবসা আস্তানা।
একটি অসহায় নারী গোষ্ঠী অন্ধকার সুপার মার্কেটের ফাঁকা জায়গা, পৌর মার্কেটের পেছনে, মুক্তমঞ্চের পেছনে ও কাচারিপাড় পৌরসভার সামনের অন্ধকার রাস্তায় সামান্য টাকায় বিক্রি করেন তাদের দেহ। রিশকা ও সিএনজি চালকসহ নিম্নবিত্ত অনেকের আনাগোনা থাকে এসব স্থানে। এদের সঙ্গে অনেক সময় দেখা যায় মাঝ বয়সী পুরুষসহ মধ্যবিত্তদেরও।
আরও পড়ুন- দেহব্যবসায় বাংলা সিরিয়ালের অভিনেত্রী ও ছবির নায়িকা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী যৌনকর্মী বলেন, এছাড়া আর কি করবো। এর আগে এক বাসায় কাজ করতাম। ওই বাসার মালিক প্রতিদিন…। এরপর কাজ ছেড়ে দিয়ে এখানে এসেছি মাস কয়েক হলো। এটা না করলে খাব কি? ছেলে সন্তান নিয়ে চলতে হবে তো।
এক টোকাই ও সিটি সেন্টার মার্কেটের দারোয়ান সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন রাত ১১টায় পর থেকে রিকশাচালক খদ্দররা একেরপর একজন আসে। ২-৩ জন নারী রাতের অন্ধকারের দেহব্যবসার সাথে জড়িত। এভাবে সারারাত দেহব্যবসা চলতে থাকে। এখানে বড়লোকের ছেলেরাও আসে। তাদেরকে কিছু বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। দারোয়ান বলেন, আমি প্রতিদিন না করি, কিন্তু তারা আমার কথা শোনে না। হুমকি দেয় মেরে ফেলবে।
সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম দেহব্যবসা বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বলেন, ওইখান থেকে টেলিফোনযোগে জানালে পুলিশ পাঠানোর পর কাউকে পাওয়া যায়নি। এখন থেকে প্রতিদিন রাতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন- দিন দুপুরে হোটেলে চলছিলো রমরমা দেহব্যবসা
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে