এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড থেকে ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে মা’মলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার কমিশনের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন দুদকের পরিচালক জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
এর আগে গত ১৩ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে মাইক্রোক্রেডিট ও এমএলএম ব্যবসার নামে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ, বহুমাত্রিক জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
কমিশনের সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগগুলো বিভিন্ন ব্যক্তি, গণমাধ্যম, ভার্চুয়াল মাধ্যমসহ বিভিন্ন উৎস হতে সাহেদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগসমূহ সংগ্রহ করে।
কমিশনের উপপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যেরে একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। এ দলের অন্য সদস্যরা হলেন- মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।
করোনা পরীক্ষার নামে প্রতারণার অভিযোগে গত ৬ জুলাই বিকালে রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরে রিজেন্ট হাসপাতাল এবং অফিসে অভিযান চালায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। অভিযানে হাসপাতাল দুটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। গ্রে’প্তার করা হয় সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।
এরপর ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে র্যাব সাহেদকে গ্রে’প্তার করে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, জাল টাকা, প্রতারণাসহ একাধিক মামলা হয়েছে। বর্তমানে সাহেদ ডিবি পুলিশের রিমান্ডে রয়েছে।