হিন্দুদের দেবতা রামচন্দ্রকে নেপালি বলে দাবি করায় নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিকে ‘পাগল’ বলে কটাক্ষ করলেন অযোধ্যার পুরোহিতরা। পুরোহিতরা ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছেন, এক মাসের মধ্যে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পতন ঘটবে।
[৩] নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করে রাম মন্দির ট্রাস্টের সদস্য মহন্ত দীনেন্দ্র দাস বলেছেন, ভগবান রাম এখানে জন্মেছিলেন। অযোধ্যায় তার জন্ম। তিনি অযোধ্যারই ছিলেন, এটাই জনপ্রিয় বিশ্বাস। এটা সত্য যে সীতা নেপালের ছিলেন। তবে ভগবান রামও নেপালি ছিলেন, এই দাবি ঠিক নয়। ওলির মন্তব্যের নিন্দা করছি।তিনি আরো বলেছেন, আমাদের ধর্মীয় বইয়ে একটি লাইন আছে। যার উত্তর দিকে সরযূ নদী প্রবাহিত হয়, ওটাই অযোধ্যা। আর নেপালে কোনও সরযূ নদী নেই। কিভাবে তিনি এটা দাবি করেন যে, রাম নেপালি ছিলেন। আমি তাকে চ্যালেঞ্জ করে বলছি, এক মাসের মধ্যে তিনি পদ হারাবেন।
অযোধ্যার আরেক পুরোহিত মহন্ত পরমহংস আচার্য ওলির প্রতি আক্রমণ করে বলেছেন, তিনি নিজেই নেপালি নন। তাই নেপালের সংস্কৃতির কথাও জানেন না। ভগবান রাম সারাবিশ্বের। তিনি অযোধ্যায় জন্মেছিলেন। ওলি নিজেদের লোকেদের ঠকাচ্ছেন। নেপালের মানুষের উচিত তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলা। নইলে তাদের কঠিন অবস্থার মুখে পড়তে হবে। তার বলায় কিছু এসে যায় না। ওলি পাগল।
সোমবার এক অনুষ্ঠানে ওলি দাবি করেন, রামচন্দ্র ভারতীয় ছিলেন না। আসল অযোধ্যার অবস্থান ভারতে নয়। অযোধ্যা আসলে নেপালে!
নেপালি সংবাদমাধ্যম ‘খবরহুব’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘ভানু জয়ন্তী’ উপলক্ষে সোমবার নিজের বাসভবনে বক্তব্য রাখার সময় নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সাংস্কৃতিক সীমা লঙ্ঘনের জন্য নকল অযোধ্যা নির্মাণ করেছে। আসল অযোধ্যা নেপালে আছে।
তার দাবি, সত্যিকারের অযোধ্যা বীরগঞ্জের পশ্চিমে, থোরিতে। কিন্তু, ভারত সেই সত্যের বিকৃতি ঘটিয়েছে। ভারতীয় অঞ্চলে ভগবান রাম জন্মেছেন বলে তারা দাবি করে।
[১০] ওলির কথায়, ভারতের অযোধ্যার রাজকুমারের হাতে আমরা সীতাকে তুলে দিইনি। আমরা নেপালি রাজকুমারের হাতে সীতাকে তুলে দিয়েছিলাম। ভারতের অযোধ্যাই যদি সত্য হত, তাহলে সেখানকার রাজকুমার বিয়ে করার জন্য নেপালে এলেন কেন? সূত্র: কালের কণ্ঠ