দেশের ক্রান্তিকালে করোনা প্রতিরোধে কাজ করবেন, নিজে নিয়োজিত হবেন মানুষের চিকিৎসাসেবায়। মানুষের টানে শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে নিউ ইয়র্ক থেকে দেশে নোঙর করেন চিকিৎসক ফেরদৌস খন্দকার। কিন্তু বিমানবন্দরে নামার পরপরই ঘটে বিপত্তি। বনানীর নিজ বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ না দিয়ে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে ডা. ফেরদৌসকে। আমেরিকার মেডিক্যাল সেন্টারের অ্যান্টিবডি পরীক্ষার পজিটিভ সনদ দেখানোর পরও কর্তৃপক্ষ তাঁকে বাড়ি যেতে দেয়নি। কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে পৌঁছার পরপরই ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে মহাখালীর ব্র্যাক ট্রেনিং সেন্টারে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
গত রবিবার দেশে ফেরা ১২৮ জনের মধ্যে শুধু ফেরদৌস খন্দকার ছাড়া সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। এদিকে ফেরদৌস বাংলাদেশে পৌঁছলেও তাঁর আটটি স্যুটকেস এয়ারপোর্টে আটকে দেওয়া হয়েছে। সেই স্যুটকেসগুলোতে রয়েছে মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই। এসব তিনি এনেছিলেন করোনার সম্মুখযোদ্ধাদের দিতে। কিন্তু এসবের জন্য ট্যাক্স দিতে হবে, নইলে ছাড়া হবে না বলে বিমানবন্দরে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিরুপায় হয়ে তিনি সেই সুরক্ষাসামগ্রী বিমানবন্দরে রেখেই চলে আসেন। অ্যান্টিবডি পজিটিভ সনদ দেখানোর পরও কোয়ারেন্টিনে রাখার বিষয়টিতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার।
তিনি বলেন, ‘একজন চিকিৎসক হিসেবে আমিও জানি কাদের কোয়ারেন্টিনে রাখতে হয়। কিন্তু আমার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, তার মানে কোনো না কোনোভাবে আমি এখন করোনা প্রতিরোধী, এটি নিশ্চয়ই ডাক্তাররা ভালো বোঝেন। আর অ্যান্টিবডির সনদও দেখালাম, তার পরও আমাকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে! আর অবাক করার বিষয়—আমার সঙ্গের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হলেও আমাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।’