যশোরের চৌগাছায় কৃষক বিপুল হোসেনকে (৩৫) হ’ত্যার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। হ’ত্যায় ব্যবহৃত একটি হাতুড়ি ও নি’হতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (৭ জুন) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশের দাবি, পর’কীয়ার জেরে প্রেমিকার ছেলের হাতে খু’ন হয়েছেন বিপুল হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চৌগাছার হিজলী গ্রামের আবু শামার ছেল সবুজ হোসেন (১৯), আবু শামার স্ত্রী ফুলবানু বেগম (৩৮), গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তুহিন (২৫)। এ হ’ত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন রফিকুল নামে একজন পলাতক রয়েছে।
যশোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, শুক্রবার (৫ জুন) সকালে চৌগাছা উপজেলার বেড়গোবিন্দপুর মুলিখালী বটতলার রাস্তার পাশে বস্তাবন্দি অবস্থায় বিপুলের মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তার ছেলে রকি আহমেদ মামলা করেন। মামলাটি পুলিশ সুপার তদন্তের জন্য জেলা ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেন।
এরপর তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার (৬ জুন) মণিরামপুর উপজেলার গোপালপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হ’ত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সবুজ হোসেন, তার মা ফুলবানু বেগম এবং তুহিন নামে অপর একজনকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি মতে চৌগাছার পুড়াপাড়ার জনৈক ইদ্রিস আলীর পাটক্ষেতের ভেতর
থেকে নি’হত বিপুলের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এরপর হ’ত্যার স্থান থেকে হ’ত্যায় ব্যবহৃত একটি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়।
ওসি জানান, গ্রেপ্তার সবুজের বাবা আবু শামা ১০-১২ বছর ধরে মালয়েশিয়াতে রয়েছেন। নি’হত বিপুল এ সুযোগে সবুজের মা ফুলবানুর সঙ্গে পর’কীয়া প্রেম শুরু করেন। তাদের সম্পর্ক সবুজ দেখে ফেলেন এবং বিপুলকে সতর্ক করেন। এরপরও সম্পর্ক অব্যাহত রাখায় সবুজ ও তার ভগ্নিপতি রফিকুল হ’ত্যার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন সবুজের ভগ্নিপতি রফিকুল গরু কেনার কথা বলে বিপুলকে বাড়ি থেকে ডেকে তার বসতঘরে নিয়ে যান। এরপর শ্বাসরোধ ও মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে বিপুলকে হ’ত্যা করেন। পরে বস্তায় ভরে মরদেহ মুলিখালী ফেলে আসেন।