মাদারীপুর শিবচরের একটি মসজিদের ইমাম করোনা শনাক্তের পরও বাড়িতে থাকেননি। প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে বাড়ির বাইরে গিয়ে নামাজ পড়ানোর কাজ করেছেন। অবশেষে সংবাদ পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ শনিবার রাতে তার বাড়ি লকডাউন করে হোম আইসোলেশনের ব্যবস্থা নিয়েছে। অন্যদিকে তার সংস্পর্শে থাকায় অর্ধশত ব্যক্তিকে পাঠানো হয়েছে হোম কোয়ারেন্টিনে।
সূত্র জানায়, শিবচর কাদিরপুরের একজন ইমাম করোনার উপসর্গ নিয়ে ঢাকায় যান। সেখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য দেন। এরপর শিবচর ফিরে আগের মতো নিয়মিত মসজিদে নামাজ পড়াতেন। ৪ জুন তিনি জানতে পারেন নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ এসেছে। এঅবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু তিনি তা মানেননি।
বাড়িতে না থেকে তিনি আগের মতোই নামাজ পড়াচ্ছিলেন। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীর মাধ্যমে খবর পেয়ে শনিবার রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম রাকিবুল হাসান, ওসি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোস যান কাদিরপুর গ্রামে। ইমামের বাড়ি লকডাউন করার পাশাপাশি তাকে কঠোরভাবে হোম আইসোলেশন পালনের নির্দেশ দেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এ ঘটনার পর ইমামের সংস্পর্শে আসা অর্ধশত ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোস বলেন, ‘জ্বর,গলাব্যথাসহ উপসর্গ দেখা দিলে ইমাম নিজেই ঢাকায় করোনার টেস্ট করান। তারপর আবার ধর্মীয় কাজ করছিলেন। ৪ জুন তার করোনা শনাক্ত হলে বাড়ি লকডাউনের পাশাপাশি তাকে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়। অথচ তিনি বিষয়টি গোপন রেখে ধর্মীয় কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে খবর পেয়ে ম্যাজিস্ট্রেট, ওসিসহ আমরা গিয়ে তাকে লকডাউনে বাধ্য করেছি।’
শিবচর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘করোনা পজিটিভ জেনেও ইমাম নামাজ পড়াচ্ছিলেন। তাই ইমামের সংস্পর্শে যাওয়া ব্যক্তিদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।’
ওদিকে রবিবার শিবচরে দুজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ জন।