যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিসে পুলিশি হেফাজতে কৃ’ষাঙ্গ জর্জ ফ্ল’য়েডকে হ’ত্যা ও বি’শ্বজুড়ে ব’র্ণবৈষম্যের প্র’তিবাদে কানাডায় আয়োজিত একটি বি’ক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
শুক্রবার (৫ জুন) রাজধানী অটোয়ায় পার্লামেন্ট হিলের বিক্ষো’ভে কালো মা’স্ক পরে হাজির হন তিনি। হা’টু গেড়ে বি’ক্ষোভকারীদের সাথে সম্মান জানান মৃ’ত জর্জ ফ্লয়েডের
প্রতি। জর্জ ফ্লয়েডকে হ’ত্যার ঘ’টনায় যুক্তরাষ্ট্রসহ এখনো প্র’তিবাদ চলছে পুরো বিশ্বে। বি’ক্ষোভ অ’ব্যাহত আছে কানাডা, ব্রাজিলসহ ইউরোপের দেশগুলোতে।
শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার হাতে কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের মৃ’ত্যুর ঘটনার প্র’তিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে চলমান ব’বাদবিরোধী বি’ক্ষোভের আ’গুন গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্বজু’ড়ে মানুষ নিজ নিজ দেশে সং’খ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে হওয়া বর্ণ বৈ’ষম্যের প্র’তিবাদ জানাচ্ছে। শ্বে’তাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তা ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু দিয়ে তাকে মাটিতে চে’পে ধরে রাখায় শ্বাসরোধে মা’রা যান তিনি।
এ ঘটনার ভ’য়াবহতা গোটা যুক্তরাষ্ট্রকে কাঁ’পিয়ে দিয়েছে। গোটা বিশ্বের মানুষ ফ্লয়েড হ’ত্যার বি’চার চেয়ে প্রতিবাদ জানান। শুক্রবার (৫ জুন) যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া সবচেয়ে বড় বি’ক্ষোভটি হয় জার্মানিতে।
রয়টার্সের তথ্য মতে, এদিন ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং হামবুর্গে বি’ক্ষোভে জড়ো হন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এসময় তাদের হাতে বিভিন্ন ব্যানার ছিল। ব্যানারে লেখা ছিল: ‘তোমার য’ন্ত্রণা, আমারও যন্ত্র’ণা; তোমার ল’ড়াই, আমারও ল’ড়াই’।
বিক্ষো’ভ সমাবেশ থেকে ক’রোনা ভা’ইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশ’ঙ্কা থাকায় অনেক বি’ক্ষোভকা’রীকে মা’স্ক পরে থাকতে দেখা গেছে। লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে বি’ক্ষোভকারীরা ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে হাঁটু গেড়ে বসে প্রতিবাদ জানান।
অস্ট্রেলিয়ায় বি’ক্ষোভকারীরা ক্যানবেরার সংসদ ভবনের উদ্দেশে পদযাত্রা করেন। এসময় দেশটিতে আদিবাসীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে চলমান নিপীড়ন নিয়ে অ’সন্তোষ
প্রকাশ করেন তারা। অস্ট্রিয়ায় বি’ক্ষোভকারীরা মার্কিন দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দেন। এসময় তাদের হাতে ব’র্ণবাদবিরোধী স্লোগান লেখা ব্যানার ছিল।
নরওয়েতেও জনসমাবেশের ওপর জারি থাকা নিষে’ধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বি’ক্ষোভ করেন হাজার হাজার মানুষ। সামাজিক দূরত্ব বিধি উপেক্ষা করে নরওয়ের সংসদ ভবন এবং
মার্কিন দূতাবাসের সামনে জড়ো হন কয়েক হাজার বিক্ষো’ভকারী। এছাড়া, নেদারল্যান্ডস, লাইবেরিয়া, ইতালি, কানাডা এবং গ্রিসেও মানুষ শুক্রবার বি’ক্ষোভ
কর্মসূচি নিয়েছে। শনিবারও বিক্ষো’ভের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে করো’না ভা’ইরাস সংক্র’মণের ঝুঁ’কি থাকায় শনিবার মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষো’ভ কর্মসূচিতে
নিষে’ধাজ্ঞা জারি করেছে প্যারিস পুলিশ।