বাংলাদেশ, ভারত কিংবা পাকিস্তানের মতো ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে নভেল করোনাভাইরাস মারাত্মকভাবে এখনো ছড়িয়ে না পড়লেও এটি ঘটার ঝুঁকি সবসময় আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা মাইক রায়ান।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায়, শুধু ভারতে নয় বাংলাদেশ এবং…পাকিস্তানের মতো ঘনবসতির দেশেও রোগটির বিস্ফোরণ হয়নি; কিন্তু সব সময় এটি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।’
যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সাপ্তাহিক ইকোনমিস্টের আলোচিত প্রতিবেদনের একদিন পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে এই মন্তব্য এল। ইকোনমিস্টের ধারণা, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়ই শুধু করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে সাত লাখ!
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২ হাজার ৬৩৫ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে মারা গেছেন ৩৫ জন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৬৩ হাজার ২৬ জনের। মারা গেছেন ৮৪৬ জন।
অন্যদিকে ভারতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ২ লাখ ৩৬ হাজার ৯৫৪ জন। মারা গেছেন ৬ হাজার ৬৪৯ জন।
বাংলাদেশের মতো পাকিস্তানেও এখনো আক্রান্ত লাখের নিচে। দেশটির সরকারের দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সেখানে ৯৩ হাজার ৯৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ হাজার ৯৩৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩২ হাজারের বেশি মানুষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, ভারতে যত মানুষ এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন তার থেকে বেশি আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা ছিল।