মেক্সিকোর বেসরকারি হাসপাতালের কমপক্ষে ১০ জন চিকিৎসক এবং সরকারি একজন কর্মকর্তা মিলে পাঁচ শতাধিক মরদেহের ভুয়া ডেথ সার্টিফিকেট দিয়েছেন। মেক্সিকো সিটি প্রসিকিউটর অফিস থেকে তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত্যুর এ পত্র নিয়ে মেক্সিকো সিটি হেলথ প্রটেকশন অথরিটি উদ্বেগ প্রকাশের পর এ নিয়ে তদন্ত শুরুর পর এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।
পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছিল, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, নিউমোনিয়া বা ভাইরাল নিউমোনিয়া। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তারা মারা গেছেন। সেই পূর্বানুমান নিয়েই তদন্ত শুরু হয়।
মেক্সিকো সিটি মেয়র ক্লদিয়া শেইনবাম বলেন, সারাবিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার পরেও ওই চিকিৎসকরা মৃত্যুর কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবেও করোনার ব্যাপারে উল্লেখ করেননি।
এছাড়া ওই চিকিৎসকরা মৃত্যুর ব্যাপারে ভুয়া সার্টিফিকেট দেয়ার ব্যাপারেও চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি স্ক্যান্ডালে নাম জড়িয়েছিলেন। তবে তারা ঠিক কী কারণে এ ধরনের শংসাপত্র দিয়েছেন, তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
জানা গেছে, রোগীরা মারা যাওয়ার পর সেখানে আর কোনো চিকিৎসক না যাওয়া দেখে সন্দেহ হয় মেক্সিকো সিটির হেলথ প্রটেকশন অথরিটির। তারপরই এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। ১০ জন চিকিৎসকের মধ্যে তিনজনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তারা মনে করছেন, ভুয়াভাবে শংসাপত্র দেয়ার কারণে মেক্সিকোতে করোনাভাইরাস আরো ব্যাপকহারে ছড়িয়ে যেতে পারে।