Breaking News

লকডাউনের সময় সৌদিতে বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়েছে

চলমান করোনাভাইরাস মহামারিতে যখন সারাবিশ্বে জমা হচ্ছে হাজারো বিয়ের আবেদন। তখন সৌদি আরবের বইছে বিপরীত বাতাস। আগের যে কোন সময়ের তুলনায় দেশটিতে তালাকের সংখ্যা বেড়েছে ৩০ শতাংশ। এমন তথ্য দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম।

সৌদি আরবে একাধিক স্ত্রী রাখার প্রথা বহুকালের পুরনো। একবিংশ শিতাব্দীতেও বহুবিবাহের প্রথা ধরে রেখেছে সৌদির সামর্থবান পুরুষরা। গত কয়ের বছর ধরেই আরব সমাজে ব্যস্তানুপাতিক হারে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা।

মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের খবর, করোনাভাইরাস মহামারিতে সৌদি আরবে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে তালাকের সংখ্যা। লকডাউনের সময় স্বামীর গোপন বিয়ের কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ার কারণে তালাকের পথে হাঁটছেন নারীরা।

জানা গেছে, প্রথম কারফিউ ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর শুধু ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরবে ৭ হাজার ৪৮২টি তালাক হয়েছে। মক্কা ও রিয়াদে তালিকাভুক্ত হয়েছে বেশিরভাগ তালাকের ঘটনা। তবে মাসে পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত বিবাহ বিচ্ছেদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর অনলাইনে বিবাহের অনুমতি দিয়েছে দুবাই প্রশাসন।

এদিকে সৌদি আরবের মতো লকডাউন খুলে দিতে শুরু করেছে উপসাগরীয় অন্য দেশগুলো। লকডাউন নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে দেয়ার পরেও সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে তালাকের সংখ্যা কমছে না।

উল্লেখ্য, দেশটিতে গত কিছুদিন আক্রান্তের সংখ্যা কিছু কমলেও আবার আক্রান্তের ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং এ ভাইরাসজনিত কারণে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও আগের থেকে বাড়ছে।

সৌদি আরবে গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৯৭৫ জন করোনারোগী শনাক্ত হয়েছেন। ফলে দেশটিতে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৩ হাজার ১৫৭ জন।

এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩২ জন। এ নিয়ে করোনায় দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬১১ জন। নতুন করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮০৬ জন। সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন ৬৮ হাজার ৯৬৫ জন।

সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ২৩ হাজার ৫৮১ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন এক হাজার ৩৮১ জন।

Check Also

জুলুম থেকে বাঁচতে মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তে বলেছেন

মহানবী (সা.) যেকোনো ধরনের জুলুম থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে একটি দোয়া পড়তে বলেছেন। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *