পুরো বিশ্ব যখন করোনার দাবানলে দগ্ধ, তখনই ভারতে ঘটেছে এক মজার কাহিনী। ভারতের তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে একটি চায়ের দোকানে কাজ করতেন আমান নামের এক ছেলে। সারা দেশে লকডাউন চলাকালীন সময়ে একটি বাইক চুরি করেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল একটাই।
নিজের দেশের বাড়িতে পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়া। যার প্রমান দিয়েছেন বাইক চুরির সপ্তাহ দুয়েক পরেই। কারণ বাইকটি যাঁর তাঁর কাছেই সপ্তাহ দুয়েক পরে পার্সেল করে পাঠিয়ে দিয়েছে আমান।বাইকের মালিক সুরেশ কুমারকে ডেলিভারি সেন্টার সেখানে সে তার বাইকটিই ফেরত পান। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পার্সেল ডেলিভারি সেন্টারে পৌঁছে তিনি আশ্চর্য হয়ে যান। নিজের বাইক ফিরে পেয়ে অভিভূত হয়ে যান সুরেশ।
তবে নিজে সরাসরি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, কুমার সিসিটিভ ফুটেজ যোগাড় করেছিলেন যেখান দেখে স্থানীয়রা দোষীকে সনাক্ত করতে পেরেছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর সেই কোয়েম্বাটুরের পাল্লাপালায়ম থেকে বাইটি পার্সেল করে পাঠিয়ে দেয়। তবে যে ফেরত পাঠিয়েছিল সে হাতে তুলে দেওয়ার জন্য টাকা অবশ্য দিয়ে দেয়নি তাই কুমারকে ১০০০ টাকা দিয়ে সেটা নিজের বাড়ি নিয়ে যেতে হয়