দ’দেশের সীমান্ত এলাকার মালিকানা নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে ভারত ও নেপালের মধ্যে। ভারতের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও নতুন ম্যাপ অনুমোদনের জন্য নেপালের পার্লামেন্টে তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মার সরকার। এতে পুরোপুরি সমর্থন দিয়েছে প্রধান বিরোধীদল নেপালি কংগ্রেস। দেশটির এমন মনোভাব দুদেশের সম্পর্কে ফাটল ধরবে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা।
ভারতের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও রোববার নেপালের সংসদে পেশ করা হয় নতুন ম্যাপ বিল। দেশের মানচিত্রে পরিবর্তন এনে নয়া এ বিলে সীমান্তবর্তী লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখকে নেপালের অংশ দাবি করেন আইনমন্ত্রী শিব মায়া তুম্বাহাম্ফি।
বিলটিকে সমর্থন দিয়েছে বিরোধীদল নেপালি কংগ্রেস। ফলে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে এটি অনুমোদন পেতে পারে সংসদে। তবে, নেপাল সরকারের এমন উদ্যোগকে ভালোভাবে নেননি ওই এলাকার বাসিন্দারা।
একজন বলেন, আমরা ভারতীয়। বললেই এই জায়গা তাদের হবে না। আমরাও তো দাবি করতে পারি আমাদের জায়গা তাদের ভেতর ঢুকে পড়েছে।
লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখ নিয়ে ভারত নেপাল বিবাদ দীর্ঘদিনের। সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনা চরমে পৌঁছানোয় দুই দেশের সরকারকে আলোচনায় বসার আহ্বান বিশ্লেষকদের।
বিশ্লেষক পুরঞ্জন আচার্য বলেন, ইস্যুটি নিয়ে নেপালের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল এক হয়েছে। এটা আরও চরম আকার ধারণ করতে পারে। সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরির আগেই মোদি ও কে পি শর্মার মধ্যে সংলাপ হওয়া দরকার। আলোচনা ছাড়া কোনোভাবেই এর সমাধান হবে না।
সম্প্রতি ভারত সরকার উত্তরাখন্ডের গাটিয়াবর্গ থেকে লিপুলেখ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার রাস্তার আনুষ্ঠানিক সূচনা করার পর থেকেই বিরোধ চরমে পৌঁছায়। নেপাল দাবি করে এই এলাকা তাদের, যদিও এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছে মোদি সরকার।