মানিকগঞ্জের ঘিওরে এক গৃ’হবধূকে গণধ’র্ষণের অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই গৃ’হবধূর মা বা’দী হয়ে ১১ জনকে আ’সামি করে থানায় মা’মলা করেছেন।
ঘটনার স”ঙ্গে জ’ড়িত তিনজনকে গ্রে’’ফতার করেছে পুলিশ। উ’’দ্ধার করা হয়েছে ধ’র্ষণের সময় ধারণ করা ভিডিও ক্লিপ। গ্রে’’ফতাররা হলেন- উপজে’লার বড়টিয়া ইউনিয়নের মৌহালী গ্রামের ছলিম মিয়ার ছেলে ওয়াসিম হোসেন (২০), সাজাহান মিয়ার ছেলে রাকিব হোসেন (২০) ও আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রেদোয়ান (২০)। রোববার (৩১ মে) রাত থেকে সোমবার (১ জুন) ভোর পযর্ন্ত বিভিন্ন স্থানে অ’ভিযান চা’লিয়ে তাদের গ্রে’’ফতার করা হয়।
ওই গৃ’হবধূর মা জানান, ঈদের দিন তার মেয়ে তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরদিন সকালে প্রতিবেশী দেবর ওয়াসিম ফোন করে তার অবস্থান জেনে নেয়। সকাল ১০টার দিকে বাড়ির পাশে বড়টিয়া বাজারে মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড করতে গেলে তার স”ঙ্গে ওয়াসিমের দেখা হয়। এ সময় ওয়াসিমের বন্ধু রাকিবও স”ঙ্গে ছিল। ওয়াসিম কথা আছে বলে হাঁটতে হাঁটতে তার মেয়েকে নিয়ে একটি নির্জন বাড়ির পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই অ’পেক্ষায় ছিল অন্যান্যা আ’সামিরা। যারা সবাই ওয়াসিমের বন্ধু-বান্ধব এবং এলাকায় ব’খাটে হিসেবে পরিচিত।
সেখানে তার মেয়ের হা’ত-মু’খ চে’পে ধরে পালাক্রমে ধ’র্ষণ করে তারা। সেই দৃশ্য তারা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে। ঘটনার পর ব’খাটেরা পা’লিয়ে যায়। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে অ’সুস্থ অবস্থায় তার মেয়েকে উ’’দ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা। পরে বিস্তারিত জানতে পারেন তারা। এদিকে এ ঘটনা ধা.মাচা’পা দেয়ার চেষ্টা চা’লায় স্থানীয় একটি মহল। তিনদিন পর ঘটনা জানতে পেরে ভি’কটিমকে উ’’দ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রোববার রাতে ভি’কটিমের মা বা’দী হয়ে মা’মলা করেন।
ঘিওর থানা পুলিশের ভারপ্রা’প্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম জানান, লোকমুখে ঘটনা জানার পর ভি’কটিমকে থানায় এনে জি’জ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা খুবই দরিদ্র হওয়ার কারণে মা’মলা না করার জন্য স্থানীয় একটি মহল পরামর’্শ দিয়েছিল। গণধ’র্ষণ মা’মলায় ১১ জন আ’সামি। যাদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। ঘটনার স”ঙ্গে জ’ড়িত তিনজনকে গ্রে’’ফতার করে আ’দালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, সোমবার সকালে জে’লা সদর হাসপাতালে ওই গৃ’হবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বাকি আ’সামিদের গ্রে’’ফতারের চেষ্টা চলছে