Breaking News

চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ করোনায় আক্রান্ত নারী-শিশু!

বিশেষ কোন চিকিৎসা প্রদ্ধতি অনুসরণ না করেই করোনা জয় করেছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার প্রথম শনাক্ত হওয়া ১০ বছরের এক শিশু ও প্রসূতি মা। দীর্ঘদিন নিজ নিজ বাসা/বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে সুস্থ হয়েছে এ দু’জন।তারা হলেন, উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের ঘোড়াশাইল গ্রামের সুমন মালাকারের স্ত্রী শান্তি রানী মালাকার (২০) ও একই ইউনিয়নের বৈরাগী বাজারের বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসক সুকুমার দাসের নাতনি শ্রাবন্তী রাণী দাস (১০)। সম্প্রতি তাদের দু’জনের ফলোআপ টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ায় তাদের ‘বাড়ি লকডাউন’ তুলে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে আরও ১৫ দিন করে হোমকোয়ারেন্টিনে থাকার। রবিবার দুপুরে এ তথ্য ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুজ্জামান।তিনি বলেন, তারা নিজ নিজ বাসস্থানে থেকেই সুস্থ হয়েছেন। দু’জনের পরবর্তী রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় লকডাউন তুলে নিয়ে তাদের আরও ১৫ দিন হোমকোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।কি ভাবে করোনা জয় করলেন তারা? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে, শিশু শ্রাবন্তীর দাদু সুকুমার দাস বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমার নাতনীর কোন উপসর্গই ছিল না, এখনও নেই। সে সব সময় সুস্থ-স্বাভাবিকই ছিলো।

এর জন্যে কোন চিকিৎসাও দেয়া হয়নি তাকে। তার ফলোআপ রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ায় ইশ্বরের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।শান্তি রাণী মালাকারের স্বামী সুমন মালাকার বলেন, প্রসব পরবর্তী ঔষধ ছাড়া, করোনার জন্য অলাদা কোন চিকিৎসা নেয়নি সে। আমরা অসহায়দের ইশ্বরই কৃপা করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩ মে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় শান্তি রানী মালাকারের। সিলেট ওসমানী হাসপাতালে সন্তান জন্ম দেয়ার পর বাড়ি ফিরলে করোনার উপসর্গ দেখা দেয় তার। পরে নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়। এ দিকে করোনা আক্তান্ত হয়ে সিলেট হাসপাতালে মারা যান শিশু শ্রাবন্তীর পিতা সবুজ। সে মা-বাবার সাথে সিলেটের ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। করোনা সন্দেহে সবুজের পরিবারের সবার নুমানা নিলে, গত ৯ মে কেবল শ্রাবন্তীরই আসে পজেটিভ রিপোর্ট।

Check Also

জুলুম থেকে বাঁচতে মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তে বলেছেন

মহানবী (সা.) যেকোনো ধরনের জুলুম থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে একটি দোয়া পড়তে বলেছেন। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *