শেরপুরের নকলায় প্রতিবেশীর হাতে ধ’র্ষণের শিকার কিশোরী ফুটবলার পুত্র সন্তান প্রসব করেছে। গত ১৩ মে তার কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে শিশুটি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আজগর আলী নকলা পৌর এলাকার কুর্শাবাদগৈড় মহল্লার টেপু মিয়ার ছেলে।
বৃহস্পতিবার ৮ দিনের পুত্রকে নিয়ে নকলা থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করে ওই কিশোরী। এরপর ওইদিন দিবাগত রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে আজগর আলীকে বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
ধ’র্ষণের শিকার কিশোরীর অভিযোগ, এক বছর আগে প্রতিবেশী আজগর আলী ভয় দেখিয়ে তাকে ধ’র্ষণ করে। এতেই সে অন্তঃসত্ত্বা হয়।
একাধিক সূত্র জানায়, কিশোরীর বাবা বছরখানেক আগে মারা যান। পরিবারের খরচ জোগাতে তার মা অন্যের বাড়িতে কাজ নেন। মায়ের কষ্ট কমাতে শেরপুর-টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ফুটবল খেলতো ওই কিশোরী।
ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, এক বছর আগে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধ’র্ষণ করে আজগর আলী। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আরো কয়েকবার ধ’র্ষণ করলে আত্মসত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরী। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় একাধিকবার সালিশ বসায় ধর্ষ’কের পরিবার। এমনকি ওই কিশোরীর পরিবারকে গ্রামছাড়া করার চেষ্টাও করে ধর্ষ’ক।
তারা আরো জানান, ১৩ মে নিজ বাড়িতে ওই কিশোরীর ছেলের জন্ম হয়। বৃহস্পতিবার ৮ দিনের ছেলেকে নিয়ে নকলা থানায় যায় সে। পরে আজগর আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
নকলা থানার ওসি আলমগীর শাহ জানান, ১০ মাস আগের ঘটনা, অথচ একবারের জন্যও ওই কিশোরী বা তার পরিবার অভিযোগ করেনি। মামলার পর বৃহস্পতিবার রাতেই আজগর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি আরো জানান, অভিযুক্ত আজগর আলীকে শুক্রবার বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়েছে। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ধ’র্ষণের শিকার কিশোরীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে