চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ এলাকা থেকে চার সহযোগীসহ বহুল বি’তর্কিত প্রতারক বৌদ্ধ ভিক্ষু রকি বড়ুয়া গ্রে’ফতার হয়েছে। গ্রে’ফতারের সময় তার কাছ থেকে বিদেশি মদ, ২৫ লাখ টাকার এফডিআর, গেরুয়া রং এর কাপড় উ’দ্ধার করেছে র্যাব-৭।
এছাড়াও প্রতারণার জন্য ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সিল প্যাড ও ছবি পাওয়া গেছে তার কাছে। মঙ্গলবার (১২ মে) ভোর রাতে সেহরির সময় চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ এলাকা থেকে রকি বড়ুয়াকে গ্রে’ফতার করে র্যাব-৭। নিজেকে বৌদ্ধ ভিক্ষু দাবি করে দেশে ও দেশের বাইরে রাজনৈতিক উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে দেখা করা আর অনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া ছিল রকি বড়ুয়ার নেশা।
সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীর ছেলের সাথে বৈঠক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের ষ’ড়যন্ত্রের অ’ভিযোগ ছিল রকি বড়ুয়ার বিরুদ্ধে। এ সময় তার ৪ সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়। বাসা থেকে উ’দ্ধার করা হয় বাংলাদেশ ও ভারতের একা%Au;A7িক নেতা মন্ত্রী ও এমপির সাথে তার ছবি, তাদের সিল প্যাড ও বিভিন্ন জনের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের ছবি।
গ্রেফতারের আগে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে চট্টগ্রামের একটি তিনতলা বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পা’লানোর চেষ্টার সময় দুই পা ভে’ঙে যায় তার। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১০ মে রোববার দেশের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে রকি বড়ুয়াকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
সেই প্রতিবেদনের জের ধরেই অবশেষে গ্রে’ফতার করা হয় তাকে। গ্রে’ফতারের বিষয়ে র্যাব-৭ (চট্টগ্রাম) এর অধিনায়ক লে: কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল গণমাধ্যমকে বলেন, হ্যাঁ রকি বড়ুয়া নামে আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি। চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ শহরের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রে’ফতার করা হয়।
এরপর রকি বড়ুয়ার দেওয়া তথ্যমতে চট্টগ্রাম লালখান বাজারে তার একটি বাসা থেকে বিদেশি মদ, ২৫ লাখ টাকার এফডিআর, গেরুয়া রং এর কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতারণার জন্য ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সিল প্যাড ও ছবি পাওয়া গেছে।
তিনি বালেন, আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল রকি বড়ুয়া যু’দ্ধাপরাধীর অ’ভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত আসামি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মুক্তির ব্যাপারে বৈঠক করছিলেন। এটার মাধ্যমে তিনি অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছিলেন। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রা’স বি’রোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।