নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ৮নং ওয়ার্ডে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চার সন্তানের জননীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় মেয়রের নির্দেশে মামলা হওয়ার এক সপ্তাহেও আসামী গ্রেফতার করেনি পুলিশ। উপরন্তু আহত বাদীনীকে হয়রানি করতে পাল্টা মামলা দায়ের করেছে আসামী পক্ষ।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল শনিবার দুপুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মুছাপুর ৮নং ওয়ার্ডের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী আমেনা খাতুনকে (৩৫) কুপিয়ে মাথায় মারাত্মক জখম করে তার ভাসুর আলাউদ্দিন, দেবর নুরখান, ঝা শিল্পী, রিনা, ভাসুর কন্যা রিয়া, রিতুসহ পরিবারের লোকজন। বাড়ির লোকজন আহত আমেনাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার মাথায় ১৬টি সেলাই করে তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরন করে।
এ ঘটনায় আমেনা খাতুন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার কাছে গেলে তিনি আইনগত ব্যবস্থার নির্দেশ দেন। পরে আমেনার আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩ মে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা (নং-৩) রুজু হওয়ার এক সপ্তাহেও কোন আসামীকে আটক করনি পুলিশ। পক্ষান্তরে আহত আমেনা, তার সন্তান ও ভাইদের নামে পাল্টা আরেকটি মামলা দায়ের করে এখন সেই মামলায় বাদিকে গ্রেফতার করানোর ভয় দেখাচ্ছে আসামীরা।
আমেনা খাতুন বলেন, সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমি অসুস্থ্য শরীরের বাবার বাড়িতে অবস্থান করছি। পুলিশকে আসামী ধরতে বলার পর পুলিশ প্রতিপক্ষের মামলায় আমাদেরকেও ধরে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা আমাকে রক্তাক্ত করে এখন বাঁচার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের ভয় দেখাচ্ছে। তিনি সবার কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন।
মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান জানান, আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদেরকে আটকে গ্রে’ফতার অভিযান অব্যাহত আছে।