ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের দশআনী গ্রামে ড্রাইভার দোকান এলাকায় প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে পোড়া তেল মেরে ঝলসে দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দশআনী গ্রামের এক প্রবাসীর মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে সোমবার বিকেলে একই গ্রামের সুলতান আহম্মদের ছেলে শহিদুল ইসলাম ফারুক কথা বলতে যায়। এ নিয়ে একই গ্রামের শহিদ উল্যার ছেলে এমদাদুল হক সুমনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায় সুমন ও তার সহযোগীরা ফারুকের ওপর হামলা করে। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
ফারুক ঘটনাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সেন্টুকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি জানতে চান। এ সময় উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সুমনের বাবা শহীদুল্যাহকে মারধর করলে সুমন ও তার ভাই রসুল আহম্মদ সবুজ দোকানের কড়াইতে থাকা পোড়া গরম তেল ছুঁড়ে মারে। এতে সেন্টুর সঙ্গে আসা ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান রকি, ছাত্রলীগ কর্মী রেজাউল হাসান সোহানের শরীর ঝলসে যায়। সেন্টুও আঘাত প্রাপ্ত হয়।
খবর পেয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মাস্টার শামসুল হক ও ইউসুফ মেম্বারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আহতদের সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে অবস্থা গুরুতর দেখে মেহেদী হাসান রকি, ছাত্রলীগকর্মী রেজাউল হাসান সোহানকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চর মজলিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম এ হোসেন ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এ ঘটনায় সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম পলাশ।
তিনি দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘এ ঘটনায় রেজাউল হাসান সোহানের বড় ভাই মো. ওমর ফারুক বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।’