সাংবাদিকতার আড়ালে নানা লোকের কাছে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে আতিক বাবুর বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় চুরিসহ চারটি মামলা হয়েছে। এদিকে মামলার বাদীদের গু’লি করে মেরে ফেলাসহ নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদীরা।
তারা বলছেন, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কারণেই এতদিন মামলা করতে সাহস পাইনি। এখনই বা মামলা করে কী লাভ হলো, সে তো পুলিশের সামনেই ঘুরছে, কিন্তু গ্রেপ্তার হচ্ছে না।বুধবার সন্ধ্যায় সর্বশেষ মামলাটি করেন বগুড়ার শাহজাহানপুর থানার গন্ডগ্রাম হিন্দুপাড়া গ্রামের প্রদীপ কুমার মোদক। তিনি গাইবান্ধার কুপতলা ইউনিয়নে রামপ্রসাদ গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন।
এ নিয়ে নামধারী এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সদর থানায় চারটি মামলা দায়ের হলো। এছাড়া আরো ডজন খানেক অভিযোগ তদন্ত করছে পুলিশ।কিন্তু আতিক বাবুকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে মামলার বাদী ও তদন্তাধীন অভিযোগকারীদের গু’লি করে হ’ত্যা করাসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।এদিকে সচেতন মহল বলছে, আতিক বাবু মোবাইল ফোনে ও ফেসবুকে সার্বক্ষনিক বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করছে।
তাহলে পুলিশের ডিজিটাল প্রক্রিয়া এখানে কি অসহায়? তাদের মতে, ইতোপুর্বে দেশে আতিক বাবুর চেয়েও ভয়ংঙ্কর প্রতারক, স’ন্ত্রাসী, গডফাদার, অস্ত্রধারীরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জালে ধরা পড়তে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু আতিক বাবু তাদের জালে কেনো ধরা পড়ছে না তা বোধগম্য নয়।অবশ্য পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানালেন, প্রতারক আতিক বাবুকে হন্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ। শীঘ্রই সে গ্রেপ্তার হবে।
বুধবার (৬ মে) সন্ধ্যায় সর্বশেষ মামলাটি করেন বগুড়ার শাহজাহানপুর থানার গন্ডগ্রাম হিন্দুপাড়া গ্রামের প্রদীপ কুমার মোদক। তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নে রামপ্রসাদ গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন।প্রসঙ্গত, গত ২২, ২৫ ও ২৮ এপ্রিল বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি আতিক বাবুর বিরুদ্ধে চুরি, প্রতারনা ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গাইবান্ধা সদর থানায় পরপর পৃথক তিনটি মামলা হয়। এছাড়া প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় আরো একডজন অভিযোগ তদন্ত করছে পুলিশ। এসব ঘটনা বাংলাভিশন কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে গত ২৮ এপ্রিল আতিক বাবুকে চাকরিচ্যুত করা হয়।