চলতি বিশ্বকাপ ফুটবল আসরে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে জয়ের পর লিওনেল মেসির পরিবারের উচ্ছ্বাসের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তবে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে হারের ধাক্কায় পরিবারের মনের অবস্থা কী হয়েছিল, তা ফাঁস করলেন মেসি। ফুটবলের রাজপুত্র জানালেন, সৌদির বিরুদ্ধে ধাক্কার পর কাঁদতে-কাঁদতে মাঠে ছেড়েছিল সাত বছরের ছেলে মাতেও। থিয়াগো আবার অঙ্ক কষে বোঝাচ্ছিল যে কিভাবে নক-আউটে যেতে পারবে আর্জেন্টিনা।
গত সপ্তাহে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ২-০ গোলে জয়ের পর ডেপোরটিভিতে মেসি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচের (সৌদি আরবের বিরুদ্ধে) পর মাতেও (মেজ ছেলে) কাঁদতে-কাঁদতে মাঠের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিল। থিয়াগো (বড় ছেলে) অঙ্ক কষে বোঝাচ্ছিল যে আমরা যদি দুটি ম্যাচেই জিতি, তাহলে আমরা নক-আউটে উঠে যাব।’ সাথে তিনি যোগ করেন, ‘আর্জেন্টিনার বাকি মানুষের মতো আমার পরিবারও কষ্ট পাচ্ছিল। এবার আমাদের (পরিবারের) মন ভালো আছে। কারণ আমরা (নক-আউটে) যাব কিনা, তা আমাদের হাতেই আছে।’
এবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে হেরে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। যে দল বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার, সেই দল সৌদির বিরুদ্ধে হেরে যাওয়ায় মন ভেঙে যায় আর্জেন্টিনার মানুষ। সেইসাথে বিশ্বকাপে নক-আউটে ওঠা নিয়ে আর্জেন্টিনা শিবিরে আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হয়েছিল। পরিস্থিতি এমনই ছিল যে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে হারলেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতেন মেসিরা। কিন্তু মেক্সিকোর বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে একেবারে ছন্দে ছিল না আর্জেন্টিনা।
সেই পরিস্থিতিতে প্রতিবারের মতো এবারও আর্জেন্টিনার রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়ান মেসি। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর গোল করেছিলেন এনজো। তার ফলে মেক্সিকোকে হারিয়ে বিশ্বকাপের নক-আউটে ওঠার লড়াইয়ে এগিয়ে এসেছেন মেসিরা। সেই জয়ের পর মেসি বলেন, ‘ম্যাচের ফলাফলে আমি খুশি। আমি খুশি যে আমরা কয়েক দিন চুপচাপ কাটাতে পারব।’
উল্লেখ্য, আন্তোনেলা ও মেসির তিন ছেলে আছে। বড় ছেলে হলো থিয়াগো। ২০১২ সালে জন্মগ্রহণ করেছিল। ২০১৫ সালে মাতেও আসে মেসিদের পরিবারের। তারপর ২০১৮ সালে তৃতীয়বার বাবা হন মেসি। আন্তোনেলা ও মেসির তৃতীয় সন্তানের নাম হলো সিরো। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস