গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে পুলিশের। সেখানে অস্ত্র হাতে আর্জেন্টিনার জার্সি পরা এক যুবককে দেখা যায়। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে সর্বস্তরে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
ছবির ওই ব্যক্তিটি নাকি ছাত্রলীগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন রহমানের। এমন দাবিসহ দুজনের ছবি একত্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে আল আমিন রহমান স্পষ্ট জানিয়েছেন, ছবির ব্যক্তিটি তিনি নন। এ সময় তিনি বলেন, ‘বিএনপি যে গুজবের রাজনীতি করে এটাই তার প্রমাণ। ’
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ঘেঁটে আল আমিনের ব্রাজিল ফুটবল দলের জার্সি পরা অনেক ছবি পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে আল আমিন বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি মর্মাহত। আমার পরিবারের সদস্যদের ছবি নিয়েও নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। একজন ছাত্র হিসেবে আমাদের সঙ্গে এসব কাম্য নয়। আমি শুধু বলতে চাই, ছবির ব্যক্তিটি আমি নই। এ ঘটনার পর আমি ফোন কলে প্রচুর হুমকি পেয়েছি। এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। ’
গতকাল সারা দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই ছিলেন জানিয়ে ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, ‘সবার উদ্দেশে বলতে চাই, ওই যে ব্যক্তি ছিলেন তার সঙ্গে আমার কোনো মিল নেই। এটা নির্লজ্জ মিথ্যাচার। বিএনপি যে গুজবের রাজনীতি করে এটা তারই প্রতিফলন। গতকালকে এই ছবি নিয়ে ফেসবুকে যে গুজব রটিয়েছে এটা তারই প্রতিফলন। আর সত্য কথা হলো কাল আমি সারা দিন ক্যাম্পাসে ছিলাম। দুপুরে ক্যাম্পাসে ছিলাম, বিকেলে টিএসসিতে বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচ দেখেছি এবং রাত্রেও ক্যাম্পাসে ছিলাম, ক্যাম্পাস থেকে আমি কাল বের হইনি। ’
পরিবারের সদস্যদেরও এই গুজবের অংশ করা হয়েছে আল আমিনের দাবি। তিনি বলেন, ‘গতকাল রাত ১টার পর ফেসবুকে আমি দেখতে পাই, বেশ কয়েকজন আমাকে ইনবক্সে স্ক্রিনশট পাঠায়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের সঙ্গে আমার ছবি মিলিয়ে একধরনের গুজবের সৃষ্টি করে এবং সেটা ফেসবুকে ছড়ানো হয়। বিএনপির বিভিন্ন ফেসবুক পেজ থেকে এসব গুজব ছড়ানো হয়। ’
এদিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় অস্ত্র হাতে আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের জার্সি গায়ে গুলি করা ব্যক্তি ছাত্রলীগের কেউ নন বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ দাবি করেন তিনি। হারুন অর রশীদ বলেন, ‘নয়াপল্টনে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে অস্ত্র হাতে থাকা ব্যক্তি ছাত্রলীগের কেউ নন, তিনি একজন আনসার সদস্য। ’
দুই জন এক হইতেই পারেনা দুই জন দুই মেরুর জিনিস
Sala keda ta hoile
তোর বিচার হবে।