সদ্য শেষ হওয়া নীলফামারী জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে পরাজিত হন আতাউর রহমান সাজু। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভোটের জন্য দেওয়া টাকা ফেরত চেয়ে আবদুল খালেক নামে এক ইউপি সদস্যকে ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে ঢুকে লাঠিপেটা করেছেন।অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
নীলফামারী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সাজু জোড়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন আজিজুল ইসলামের ছেলে। ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খালেক জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য সাজুর বড় ভাই ২০ হাজার করে টাকা দিয়েছিলেন। অন্য প্রার্থীরাও তাঁদের টাকা ‘উপহার’ দিয়েছেন। কেউ টাকা ফেরত চাচ্ছেন না। সাজু গত সোমবার তাঁর কাছে টাকা ফেরত চেয়ে হামলা করেন।
ইউপি সদস্য আকবর আলী জানান, সকাল ১১টার দিকে ইউপি সদস্য খালেক জোড়াবাড়ী ইউপি ভবনে প্রবেশ করে গ্রাম আদালতের ভেতর যান। এর কিছুক্ষণ পর হাতে লাঠিসোটা নিয়ে গ্রাম আদালতে আসেন সাজু ও তাঁর বড় ভাই। সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন। তাঁরা লাঠি নিয়ে গ্রাম আদালতের ভেতরেই খালেককে মারধর ও তাঁর পকেট থেকে টাকা ছিনিয়ে নেন।
জোড়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন বাবু বলেন, এ ঘটনায় সাজুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।ডোমার থানার ওসি জানান, ইউপি সদস্যের ওপর হামলার অভিযোগে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সাজুকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে আতাউর রহমান সাজু ৩৪ ভোট পেয়ে মনজুর আহমেদ ডনের কাছে পরাজিত হন।