ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশ উপলক্ষে বাসায় বাসায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের পুলিশি হয়রানি ও গ্রেফতার না করতে পুরান ঢাকার একাধিক থানায় যান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
রবিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসমাবেশ উপলক্ষে এবং সমাবেশ সফল করতে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন তিনি। ইশরাক হোসেনের জনসংযোগটি শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই গণমিছিলে রূপ নেয়।
জনসংযোগের মাঝে শতাধিক লোক নিয়ে প্রথমে ওয়ারী থানায় যান ইশারাক হোসেন। এসময় সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেনসহ একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় বিএনপির এই তরুণ নেতা পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান, তারা যেন বাসায় বাসায় গিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানি না করেন। একই সঙ্গে মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলায় তাদের যেন গ্রেফতার না করা হয়।
ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, ‘রবিবার বিকালে ইশরাক হোসেন নেতা-কর্মীদের নিয়ে থানায় এসেছিলেন। এসময় তিনি আমাদের অনুরোধ করেছেন বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার এবং হয়রানি না করতে। আমরা তাকে আশ্বস্ত করেছি।’
ওয়ারী থানা থেকে বের হয়ে লোকজন নিয়ে ইশরাক হোসেন বংশাল থানায় যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার এবং হয়রানি না করতে অনুরোধ জানান। এসময় তিনি ইশরাক হোসেনকে চলে যেতে বলেন।
এসময় ইশরাক হোসেন বলেন, আমি চলে যাবো মানে? আমি দেশের একজন সাধারণ নাগরিক। আমি সরকারকে ট্যাক্স দেই। সেই ট্যাক্সের টাকায় আপনার বেতন হয়। এরপর ওই কর্মকর্তা কিছুটা নমনীয় হয়ে কথা শোনেন। থানায় বাইরে এসে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। এবং তাদের শান্ত থাকার অনুরোধ করেন।
বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের বলেন, ইশরাক হোসেন গতকাল এই থানায় এসেছিলেন। এখান থেকে বের হয়ে কোতোয়ালী থানায় যান। আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
এরপর নেতা-কর্মীদের নিয়ে কোতোয়ালী থানায় যান বিএনপির এই তরুন নেতা। সেখানেও একই অনুরোধ করেন। থানা থেকে বের হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে হয়ে আরো বেশ কয়েকটি থানায় যেতে চেয়েছিলেন ইশরাক হোসেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হওয়ায় অন্যান্য থানায় যেতে পারেননি।