সিলেটে বিএনপির পৌনে ৪০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে দুটি মামলা হয়েছে। এ নিয়ে ৬ নভেম্বরের পর থেকে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা হলো।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে পাঁচটার দিকে দুটি মামলার বিষয়ে জানাজানি হয়।
সিলেটে একটি মামলা হয়েছে ওসমানীনগর থানায়, অপর মামলাটি হয়েছে বিয়ানীবাজার থানায়। এই দুই মামলায় ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওসমানীনগরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় সোয়া ৩০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাতে গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এছাড়া ওইদিন সন্ধ্যায় বিয়ানীবাজার উপজেলায় বিএনপির অজ্ঞাতনামা ৪০ থেকে ৫০ নেতাকর্মীকে আসামি করে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।
ওসমানীনগরের মামলায় বিএনপির ‘নিখোঁজ’ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর স্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদীর লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি থেকে ওইদিন সন্ধ্যায় পুলিশের হাতে আটক হওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তারা হলেন উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সল আহমদ ও ছাত্রদল নেতা নুরুল ইসলাম।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, এ দুটি মামলা পুরোপুরি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে। গণসমাবেশের আগে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করতেই এ মামলা করা হয়েছে। তবে এসব মামলা-হামলা উপেক্ষা করে গণসমাবেশে মানুষের ঢল নামবে।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন জানান, মামলায় ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২৪ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ নেতাকর্মীকেও আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে দয়ামীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস টি এম ফখর উদ্দিন ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ মিসবাহ রয়েছেন।