নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আলম শিকদার। দুই বউ এবং এক পুত্র সন্তানের জনক তিনি। বিবাহিত ও পুত্র সন্তানের জনক হলেও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে দায়িত্বপালন করছে ফয়সাল। যা ছাত্রলীগের পুরোপুরি গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। তবে এমন অভিযোগের পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না জেলা বা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
স্থানীয় ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এক বছরের জন্য ফয়সাল আলম শিকদারকে সভাপতি ও শেখ ফরিদ ভুইয়া মাসুমকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরই বিয়ে করেন ফয়সাল আলম শিকদার। উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের দেবই এলাকার সাদিয়াকে বিয়ে করেন তিনি। এর মধ্যেই ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার আদদ্বীন হাসপাতালে রূপগঞ্জ উপজেলা তাদের কোলজুড়ে আসে পুত্র সন্তান। তবে উপজেলা ছাত্রলীগের পদ টিকিয়ে রাখতে বিয়ে ও সন্তানের বিষয় সম্পূর্ণ গোপন রাখেন রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আলম শিকদার।
অভিযোগ রয়েছে, প্রথম স্ত্রী থাকার পরেও উপজেলার ভূলতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হারুনের বড় মেয়ে মোসা. রাদিয়াকে বিয়ে করেন তিনি। বর্তমানে রাদিয়াকে নিয়ে ঢাকায় বাসা নিয়ে থাকেন ফয়সাল। মাঝে মধ্যে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন তিনি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক সহ সভাপতি জানান, ফয়সাল বিবাহিত সবাই জানে। তার দুই বউ ও একটি পুত্র সন্তান আছে। কিন্তু সরাসরি কোন প্রমাণ হাতে না পাওয়ায় তাকে বহিস্কার করা যায়নি। এখন যেহেতু এলাকার লোকজন মুখ খুলতে শুরু করেছে সুতরাং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আলম শিকদারের মুঠো ফোনে কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।