একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সাম্প্রতিক বক্তব্যের জন্য তাকে ডেকে ‘বার্তা’ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে কী বার্তা দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের ভাষ্য, সবকিছু নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত বলার প্রয়োজন আছে বলে তারা মনে করেন না। এদিকে জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি জানিয়েছেন, নির্বাচন প্রসঙ্গে তার বক্তব্য নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানান, আমরা বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতকে ডেকেছিলাম। তাকে যা বলা দরকার আমরা বলেছি। সবকিছু বিস্তারিত গণমাধ্যমে বলার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। এ বিষয়ে কোনো গণমাধ্যমে আমার আর কোনো বক্তব্য দিতে চাই না।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের আসন্ন বৈঠকের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক আরও গভীর হবে। এই প্রত্যাশায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই সফর বাংলাদেশ এবং জাপানের সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে বলে আশা করি।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয় নিশ্চিত করে ইতো নাওকি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাপান সফর নিয়ে আলোচনা করেছি। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রামগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সফর। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক সফল করার বিষয়েই আলোচনা হয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে মন্তব্যের বিষয়ে বৈঠকে কোনো কথা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, না, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) আয়োজনে ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নাওকি বলেছেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় জাপান। এটি জাপানের দৃঢ় আশা।
২০১৮ নির্বাচনের অনিয়মের বিষয়ে ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমি শুনেছি গত নির্বাচনে পুলিশ কর্মকর্তারা নির্বাচনের আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভোট দিয়ে ভর্তি করে ফেলেছে। এ ধরনের ঘটনা এর আগে অন্য কোনো দেশে আমি শুনিনি। এ ধরনের ঘটনা আর কখনই দেখতে চায় না জাপান।