বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের অন্যতম গ্লামার্স অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন হলেন পরীমনি। ক্যারিয়ারে বেশকিছু সিনেমা করেছেন তবে সবগুলোতে জনপ্রিয়তা না পেলেও কিছু সিনেমায় তার অভিনয় দেশে মুগ্ধ হচ্ছে দর্শক। তবে অভিনয়ের থেকে তার ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে বেশি আলোচনা শুরু হয় মাঝে মধ্যে। এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রবাসী লেখক মিলি সুলতানা। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
মেজবাউর রহমান সুমনের “হাওয়া” সিনেমার জন্য পরীমণি অডিশন দিয়েছিলেন। সুমনের ফেইসকার্ড টিমের অফিস কক্ষে ঢুকেই দরোজা বন্ধ করে দেন পরীমণি। গ্লাস বোতল ছোঁড়াছুড়ি করেন, চিৎকার চেঁচামেচি করেন। পরীর এহেন উশৃঙ্খলতা দেখে সবাই বুঝে ফেলে, এই মেয়েকে নিয়ে মাঝ সমুদ্রে ৫০ দিনের মত শ্যুটিং করা মোটেও নিরাপদ হবেনা। “হাওয়া” থেকে বাদ দেয়া হয় পরীমণিকে।নাজিফা তুষিকে কাস্ট করা হয়। শরীফুল রাজকে নিয়ে সবসময় ইনসিকিউরড পরীমণি। স্ত্রী হিসেবে পরীমণি রাজকে যতোটা জানেন, বাইরের মানুষ তা জানেনা। পরীর ইনসিকিউরড ফিল করাটাকেও উড়িয়ে দেয়া যায়না। রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তার আগের দুই নায়িকা নাজিফা তুষি এবং সুনেহরাহকে ব্লক করেছেন পরীমণি। নাজিফা তুষির সাথে “হাওয়া” ও “আইসক্রিম” সিনেমা করেছেন শরীফুল রাজ। সুনেহরার সাথে করেছেন “ন ডরাই”। এছাড়া সুনেহরার সাথে মিউজিক ভিডিও এবং ফটোশুট করেছেন রাজ।
আরো দেখুন আমাদের বিয়ে করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না: পরীমণি
হাওয়া সিনেমার প্রমোশনে রাজকে সেভাবে অংশ নিতে দেননি পরীমণি। আমরা দেখেছি হাওয়া’য় চঞ্চল চৌধুরীর মত রাজের চরিত্রটিও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ছবির শেষদৃশ্যেও ছিলেন রাজ। হাওয়া থেকে বাদ পড়ার কারণে ক্ষুব্ধ হন পরীমণি। অন্যদিকে রাজের সাথে নাজিফা তুষির জড়িয়ে পড়া। এক ঢিলে দুই পাখি মারার ব্যাপারটা এবার পরীর সামনে চলে আসে।
রাজের সাবেক প্রেমিকা উপস্থাপিকা শ্রাবণ্য তৌহিদা ও মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ শিরিন শিলার সাথেও সব ধরনের যোগাযোগ রাখতে নিষেধাজ্ঞা আছে পরীমণির। তবে এটা সত্যি পরীমণি তার জীবনে ভালো এবং সুস্থ সঠিক গাইড লাইন পাননি। বৃদ্ধ নানাভাই ছাড়া মাথার উপর কোনও অভিভাবক পাননি। তার উদ্দাম শারীরিক চাহিদা তাকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে গিয়েছিল। সবসময় ডার্টি এনভায়রনমেন্টের মধ্যে ছিলেন পরীমণি।
আরো দেখুন মদ পান করতেন সুবাহ, ৫ লাখ টাকায় পাঠাতেন গোপন ছবি
শোনা যাচ্ছে পরীমণি তার উশৃঙ্খলা চালচলন আপাতত বন্ধ রেখেছেন মানুষের সহানুভূতি পাবার আশায়। তাছাড়া চয়নিকা মাসির কালোছায়া সবসময় তাকে কবজা করে রেখেছে। এমনটাও শোনা যাচ্ছে, শরীফুল রাজকে বাধ্য করা হয়েছিল প্রেগন্যান্ট পরীকে বিয়ে করতে। প্রেগন্যান্সি নিয়েই নাকি পরীমণি বিউটিপার্লারে গিয়ে কনের সাজে সেজেছেন।
প্রাসঙ্গিক খবর: আমাদের বিয়ে করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না: পরীমণি
চিত্রনায়িকা পরীমণিকে বিয়ে করবেন স্বামী হবেন এটা স্বপ্নেও ভাবেননি অভিনেতা শরিফুল রাজ। পরীমণিও কখনও ভাবেননি যে রাজের সহধর্মিণী হবেন তিনি।
এদিকে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন তারকা দম্পতি শরিফুল রাজ ও পরীমণি। গেল বছরের ১৭ অক্টোবর খুব গোপনে বিয়ে করেন তারা। এরপর চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে ফের সম্পন্ন হয় তাদের জমকালো বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। আপাতত সন্তান জন্মের অপেক্ষায় মধুর দিন কাটাচ্ছেন এই দম্পতি।
এবারই প্রথম একসঙ্গে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করেছেন রাজ-পরী। বিশেষ এই দিবস উপলক্ষে নিজেদের ভালোবাসার গল্প জানাতে একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তারা। মুমতাহিনা টয়ার উপস্থাপনায় সেখানে এই দম্পতি জানিয়েছেন, তারা যে বিয়ে করবেন সেটা তাদের দুজনের কেউ কখনও ভাবেননি। শুটিংয়ে রাজকে দেখার পর পরীই প্রথম তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে বেশিদিন প্রেম করার সুযোগ পাননি, বিয়ে করে ফেলেছেন।
পরীমণি বলেন, ‘আমাদের বিয়ে করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। একসঙ্গে সারাজীবন থাকার জন্যই আমরা বিয়ে করে ফেলি। রাজের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর মনে হয়েছে, তার রাজ্যে তো রানি হওয়াই যায়।’
রাজকে পছন্দের কারণ জানিয়ে নায়িকা বলেন, ‘রাজ যা করে তার মধ্যে একটা বাচ্চামি থাকে। ওটা দেখে মনে হয়েছে, মানুষটা তো আসলে আমার চাওয়ার মতোই।’
অন্যদিকে পরীর প্রেমে পড়ার কারণ হিসেবে রাজ বলেন, ‘শুটিংয়ের কিছুদিন আগে আমার একটা দুর্ঘটনা ঘটে। আমার হাত ভাঙা ছিল। যেহেতু আমি ডান হাত ব্যবহার করতে পারতাম না, তাই বাঁ হাত দিয়ে খাবার খাওয়াসহ অন্য সব কাজ করতাম। পরী এটা খেয়াল করে। এরপর আমি যখনই ভাত খেতাম, পরী আমাকে নিজের হাত দিয়ে খাইয়ে দিত।’
প্রসঙ্গত, মাত্র ১০১ টাকা কাবিনে পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন রাজ-পরী। বিয়েতে উকিল বাবার দায়িত্ব পালন করেছেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি।
প্রাসঙ্গিক খবর: শরীফুল রাজকে বাধ্য করা হয়েছিল প্রেগন্যান্ট পরীকে বিয়ে করতে : মিলিবাংলাদেশের বর্তমান সময়ের অন্যতম গ্লামার্স অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন হলেন পরীমনি। ক্যারিয়ারে বেশকিছু সিনেমা করেছেন তবে সবগুলোতে জনপ্রিয়তা না পেলেও কিছু সিনেমায় তার অভিনয় দেশে মুগ্ধ হচ্ছে দর্শক। তবে অভিনয়ের থেকে তার ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে বেশি আলোচনা শুরু হয় মাঝে মধ্যে। এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রবাসী লেখক মিলি সুলতানা। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
মেজবাউর রহমান সুমনের “হাওয়া” সিনেমার জন্য পরীমণি অডিশন দিয়েছিলেন। সুমনের ফেইসকার্ড টিমের অফিস কক্ষে ঢুকেই দরোজা বন্ধ করে দেন পরীমণি। গ্লাস বোতল ছোঁড়াছুড়ি করেন, চিৎকার চেঁচামেচি করেন। পরীর এহেন উশৃঙ্খলতা দেখে সবাই বুঝে ফেলে, এই মেয়েকে নিয়ে মাঝ সমুদ্রে ৫০ দিনের মত শ্যুটিং করা মোটেও নিরাপদ হবেনা। “হাওয়া” থেকে বাদ দেয়া হয় পরীমণিকে।নাজিফা তুষিকে কাস্ট করা হয়। শরীফুল রাজকে নিয়ে সবসময় ইনসিকিউরড পরীমণি। স্ত্রী হিসেবে পরীমণি রাজকে যতোটা জানেন, বাইরের মানুষ তা জানেনা। পরীর ইনসিকিউরড ফিল করাটাকেও উড়িয়ে দেয়া যায়না। রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তার আগের দুই নায়িকা নাজিফা তুষি এবং সুনেহরাহকে ব্লক করেছেন পরীমণি। নাজিফা তুষির সাথে “হাওয়া” ও “আইসক্রিম” সিনেমা করেছেন শরীফুল রাজ। সুনেহরার সাথে করেছেন “ন ডরাই”। এছাড়া সুনেহরার সাথে মিউজিক ভিডিও এবং ফটোশুট করেছেন রাজ।
হাওয়া সিনেমার প্রমোশনে রাজকে সেভাবে অংশ নিতে দেননি পরীমণি। আমরা দেখেছি হাওয়া’য় চঞ্চল চৌধুরীর মত রাজের চরিত্রটিও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ছবির শেষদৃশ্যেও ছিলেন রাজ। হাওয়া থেকে বাদ পড়ার কারণে ক্ষুব্ধ হন পরীমণি। অন্যদিকে রাজের সাথে নাজিফা তুষির জড়িয়ে পড়া। এক ঢিলে দুই পাখি মারার ব্যাপারটা এবার পরীর সামনে চলে আসে।
রাজের সাবেক প্রেমিকা উপস্থাপিকা শ্রাবণ্য তৌহিদা ও মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ শিরিন শিলার সাথেও সব ধরনের যোগাযোগ রাখতে নিষেধাজ্ঞা আছে পরীমণির। তবে এটা সত্যি পরীমণি তার জীবনে ভালো এবং সুস্থ সঠিক গাইড লাইন পাননি। বৃদ্ধ নানাভাই ছাড়া মাথার উপর কোনও অভিভাবক পাননি। তার উদ্দাম শারীরিক চাহিদা তাকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে গিয়েছিল। সবসময় ডার্টি এনভায়রনমেন্টের মধ্যে ছিলেন পরীমণি।
শোনা যাচ্ছে পরীমণি তার উশৃঙ্খলা চালচলন আপাতত বন্ধ রেখেছেন মানুষের সহানুভূতি পাবার আশায়। তাছাড়া চয়নিকা মাসির কালোছায়া সবসময় তাকে কবজা করে রেখেছে। এমনটাও শোনা যাচ্ছে, শরীফুল রাজকে বাধ্য করা হয়েছিল প্রেগন্যান্ট পরীকে বিয়ে করতে। প্রেগন্যান্সি নিয়েই নাকি পরীমণি বিউটিপার্লারে গিয়ে কনের সাজে সেজেছেন।